মধ্যি পাড়ার বদ্যি আমি সর্দিজ্বরের রুগি,
আসছে না যে বউটা কাছে যদিও আমি ভুগি।
ঠুকুর ঠুকুর কাশও আছে গলাটাতে বেশ,
করোনা রোগ ধরলো এসে আমায় কি শেষমেশ?


চোখ রাঙিয়ে সারাক্ষণই বউ আমাকে কয়,
এত জ্বালা এই সময়ে আমার কি আর সয়?
পাট কাটতে বৃষ্টি ভিজে বাঁধিয়ে নিলে জ্বর,
পরিস্থিতি নয় তো ভালো কাঁপছি থরোথর।


ভাবখানাটা  দেখে এখন হচ্ছে মনে আমার,
ঠিক 'করোনা' এসে বুঝি ধরছে আজি তোমার।
ওঘর থেকে আসবে না আর এই পাশেরই ঘর,
যদ্দিন না সারছে তোমার ঠান্ডা, কাশি, জ্বর।


ভাত দিয়ে যায় দরজা থেকে লাঠি দিয়ে ঠেলে,
ভাবখানা তার এমন যেন বাঁচবে মরে গেলে।
ক'দিন পরে হঠাৎ করে শ্বাসও গেলো বেড়ে,
মৃত্যু বুঝি এবার এসে প্রাণটা নেবে কেড়ে।


খুবই খারাপ দশা দেখে আমার মণির মায়,
নিজের জীবন বাঁচার আশায় বাপের বাড়ি যায়।
যাদের সুখে রাখতে আমায় জ্বর দিয়েছে হানা,
মৃত্যুমুখে ছাড়বে আমায় তা ছিল না জানা।


সকালবেলা পাশের বাড়ির নরেশ কাকার ছেলে,
হাসপাতালে যায় সে নিয়ে ঠ্যালাগাড়ি ঠেলে।
বেশ ক'টাদিন পরে ঠিকই সারলো আমার জ্বর,
শিক্ষা দিলো কেবা আপন কেবা আমার পর।