সেদিন ও যে ছোট্ট ছিলো বসতো আমার কোলে,
দৌড়ে এসে আদর দিতো আমায় বাবা বলে।
নানান রকম রান্না হতো খেলনা হাড়িতে,
বান্ধবীদের দাওয়াত দিতো গিয়ে বাড়িতে।


আসতো যখন বসতে দিতো খাবার দিতো পাতে,
খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যেতো সবাই মিলে রাতে।
সকাল হলেই পুতুল বিয়ের ধুম পড়তো বাড়ি,
বরযাত্রী আসবে যে তাই পরতো নতুন শাড়ি।


পাশের বাড়ির ছেলের সাথে পুতুল দিতো বিয়ে,
নানা রকম ঢোল বাজিয়ে বউকে যেতো নিয়ে।


মেয়ের বিদায় দিতে গিয়ে ভাসতো চোখের জলে,
বোঝানো না যেতো তারে নানান কথার ছলে।
দিনে দিনে মাস পেরিয়ে বছর হলো পার,
পুতুল খেলার বয়স গিয়ে বিয়ের বয়স তার।


পুতুল খেলে বেড়ে ওঠা সেই মেয়েটি আজ,
শ্বশুরবাড়ি যাবে বলে গায়ে নতুন সাজ।
পুতুল বিয়ে দিতে গিয়ে কাঁদত বসে যে,
শ্বশুর বাড়ি আজ কে যাবে বাঁধন ছিড়ে সে।


শূন্যঘরে একলা দুজন থাকবো কেমন করে,
এই কথাটা ভেবে আমার চোখের পানি ঝরে।
বিধির বিধান বড়ই কঠিন এমনি করেও আমি,
বাবা-মা কে ছেড়ে আপন করেছিলাম স্বামী।