কুমোর বানায় হাড়িপাতিল কামার বানায় দাও,
দর্জি বানায় জামা কাপড় যতেক তুমি চাও।
রাজমিস্ত্রী দালানকোঠা কাঠ মিস্ত্রি খাট,
কৃষক মাঠে ফসল ফলায় ধানের সাথে পাট।


ড্রাইভারে গাড়ি চালায় সতর্কতা দিয়ে,
মাঝি জলে নৌকা চালায় বৈঠা হাতে নিয়ে।
স্টাইলে নাপিত মশাই কাটেন মাথার চুল,
বাগানবাড়ি যত্নে মালি ফোটান হরেক ফুল।


ঝড়বৃষ্টি মাথায় করে মাছ ধরে রোজ জেলে,
খেলোয়াড়ে বেজায় খুশি খেলায়  জিতে গেলে।
হাটবাজারে বসে মুচি জুতো সেলাই করে,
উপার্জনের অর্থ নিয়ে ফেরে রাতে ঘরে।


কুলি টানে ভারী বোঝা ইস্টিশনের মোড়,
গাড়ি এসে থামলে মারে আচ্ছা বেগে দোড়।
গাছের মাথা কেটে গাছি হাড়ি পাতেন নিজে,
রসভর্তি হাড়ি দেখে খুশিও হন কী যে।


রাখাল একা গরু চরায় সারাটা দিন মাঠে,
সবজিওয়ালা সবজি নিয়ে ব্যাচেন গিয়ে হাটে।
ইঞ্জিনিয়ার বাড়ি বানায় মালিক বসত করে,
শিল্পপতি শিল্প গড়ে লাভের টাকা ধরে।


অসুখ হলে আমরা সবাই যার-ই কাছে যাই,
ডাক্তারেরই কাছে গেলে জীবন ফিরে পাই।
জনগনের নিরাপদে রাখেন অফিস-ঘর
পুলিশ হলো বন্ধু আসল নয়ত তারা পর।


মুদির দোকান ছাড়া কারো একদিনও না চলে,
চাল,তেল,নুন ছাড়া খাবার উঠবে না যে গলে।
সারাজীবন শিক্ষা দিয়ে মানুষ গড়েন যিনি,
শিক্ষকতা মহান পেশায় যুক্ত থাকেন তিনি।


ছোট-বড় সকল পেশাই লাগবে তোমার কাজে,
গর্ব করে বলতে পারো নয়তো কোনও লাজে।
কাজ করা যে নয়তো ছোট এই দুনিয়ার পর,
সৎপথে কাজ করে সুখে রাখো নিজের ঘর।


০৭/০৪/২০২২
ফরিদপুর