কথার উপর কথা জমে করে আছে খুব ভিড় ;
চুপ কথারা সবাই ছুঁতে চায় ইছামতীর ও তীর ।
আমার মনের ভাবনার যে প্রতিবিম্ব দেখি আরশিতে ;
এলেম তারে উজাড় করে গল্প তাহার শোনাতে ।


উজান ছিলো মাঝির ছেলে ইছামতীর তীরেই বাড়ি ;
গায়ের নামটি তার ঝাউ ডাঙা , অতীব সুন্দরী ।
দিকে দিকে তার দাঁড়িয়ে রয়েছে ঝাউ  সারি সারি ;
গাছ-গাছালি,পাখ-পাখালি রয়েছে তারেই ঘিরি ধরি ।
আর আছে ইছামতি , বহু রূপে রূপবতী অপ্সরী ।


এক নামেতেই চেনে , স্বপন মাঝিরে লোকে ;
সেই তো সহায় পারাপারে ইছামতীর ও বক্ষে ।
মাঝি পাড়ার নেতা সে , সবাই শোনে তাহার কথা ; 
মিলে মিশে থাকবো সবে , ইহাই তাহার বার্তা ।


উজান হল তাহার , মাতৃহারা একমাত্র সন্তান ;
বছর আঠারোর পেয়েছে ছোঁয়া এই বছরি উজান ।
শ্যামলা বরণ ছেলেটির ঐ ভ্রমর কালো চুল ;
মুখে ঐ ইছামতীর জল , যেনো নাচিছে দোদুল দুল ।
শরীরে তার খেলিছে , লক লকে ঝাউ বন ;
বাহুতে ধরেছে যেনো জীবনের মহা পন ।
চোখ দুটিতে তার ঐ জ্বলছে সহস্র তারার আলো ;
স্বপ্ন অনেক বসত গড়ে তরুণ হৃদের কোলে ।
লেখা পড়ায় তার সমান মেলে দু'এক এমন ভালো ;
কি লিখেছেন বিধাতা কেই জানে এমন ছেলের ভালে !