রাস্তার ধারে , কিংবা
ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা ক্ষুধার্ত শিশুটি
যদি হঠাৎ বাড়িয়ে দেয়
তার হাতখানি তোমার দিকে
কিংবা জড়িয়ে ধরে তোমার পা-দুখানি ;
তার শীর্ণকায় শারীরি ভাষা যদি বোঝাতে চায়
তার কয়েক দিনের ক্ষুধা
চক্ষু কোঠরে ডুবে থাকা চোখদুখানি যদি
ভরে ওঠে জলে !
করবে কি বলো তুমি তখন ? উপেক্ষা ?
নাকি স্নেহ মমতার সংক্ষিপ্ত রূপ ,একটি টাকা |
হয়তো বলবে কেহ , নাটক যত !
কিন্তু সত্যিই কি তাই ?
একবারো কি ভেবে দেখবে না
এই ভদ্র-সভ্য সমাজ ,ওদের জন্য দায়ী কে ?
ওদের ভাগ্য,নাকি মুখোসের আড়ালে ঢাকা সভ্যতা!
অবাক লাগতে পারে হয়তো
আজ আবার নতুন করে ভাবতে বসে |
সময়ের নিষ্ঠুর পরিহাসে
কোথায় এসে দাঁড়িয়েছি আমরা আজ !
স্বার্থ আর আত্মতুষ্টির নাগপাশে
আবদ্ধ আমরা সব |
অন্যের হাসি দেখবার দুদণ্ড সময়ও
আজ আমাদের নেই |
অসহায় মানুষের কান্না আজ আর
আমাদের কর্ণকূহরে প্রবেশ করেনা !
আর করবেইবা কি করে ,
সেখানে যে উঠে গেছে সখের হেডফোনটি স্বজত্নে |
মানবতার এহেন অপমৃত্যু ,
সত্যিই সহ্য করা বড়োই কঠিন |
আমরা যদি একটু সচেতন , আবেগ প্রবন
নাগরিক হই , তাতে ক্ষতি কি বলো ?
অনাথের চোখে যদি একটু স্বপ্ন দেখাই ,
তার হাত দুখানি ধরে একটু কাছে টেনে নিই ,
যদি তার দুঃখ গুলোকে একু ভাগ করে নিই ,
তাহলে হয়তো পেলেও পাওয়া যাবে
মানুষ হয়ে বাঁচার প্রকৃত মানে |