আচ্ছা, শোনোনা...
কেমন হবে আমাদের সংসার?
কেমন দেখতে হবে ঘর-দোর,
কেমনই ই বা হবে বাগান টা?
কোন কোন মাছ থাকবে প্লডারিয়ামে,
কোন ছবি গুলো দেয়ালে ঝুলবে
আর কোন গুলো ঝুলবে না?


এই সব ভাবতে,
কী ভীষণ ভালো লাগে জানো!


এমন যদি হয়...
রাতের শেষে,
সকাল টা উঁকি দিচ্ছে বলে
ঘুম ভাঙা চোখে; কেবলই তোমার চোখ
আর তোমার কপালে পথ খুঁজছে
আমার উদ্ভ্রান্ত ঠোঁট।
ঘুম টা ভেঙে, কাঁথা ছেড়ে
পাগলামিতেও শুধুমাত্র তুমি।
ঘরটা জুড়ে হুরোহুরি, লাফালাফি, ছোঁয়াছুঁয়ি খেলে..
শুধু যেনো তোমায় ছুঁতে চাওয়া।
এই যে সকাল শুরু হলো
কফির ধোঁয়াতেও সেই তোমাকেই চাওয়া!


একবার সকালে তুমি ডিম ভাজছো
আর এই অবাধ্য পাগলের
পেছন থেকে গিয়ে তোমায় সে কি জড়িয়ে ধরা!


কোনো এক দুপুড়ের মিহিন রোদে
কাপড় নেড়ে দিচ্ছো,
হঠাথ কি মনে হতে!
আমি ছবি আঁকা ফেলে
দৌড়ে এসে
চুমু একে দিলাম তোমার
রক্ত করবি ঠোঁটে!


আর তুমি?
হাসতে হাসতে আমায়,
অসভ্য বলে গাল দিয়ে চললে।


একদিন বিকেলে,
আকাশে, সে কি মেঘ
ঝুম বৃষ্টি শুরু
বারণ করা সত্যেও
ভিজতেই হলো!
ভেজালে আমাকেও
এরপর!
তোমার প্রচন্ড মাথা ব্যথা।
আমার কাছে এসে বলতেই,
ধমকের সুরে বললাম,
ধুর...
সরতো।
সারাক্ষণ কি এক মাথা ব্যথা!


ব্যস অমনি করে তুমি
ঐ মিনাক্ষী চোখে জমালে মেঘ
অভিমাণ করে শুয়ে রইলে বিছানায়!


আচমকা আমি কাছে এসে
তোমার কখানি চুল
কানের পাশে গুঁজে দিলাম
কপালে হাত বুলিয়ে
কানের কাছে মুখ এনে
ফিসফিসিয়ে বললাম
শোনোনা...
"বড্ড ভালোবাসি"।


...
...


তোমার চুল বেণী করে দেব বলে
কত রকমের বেণী করা যে শিখেছি
ইউটিউব ঘেটে!
তবে বারান্দার দোলনায় বসে
রোদ মাখা বিকেল টাতে
যখন,
সেই বেণী করতে যাই!
অমনি সব গুলিয়ে যায়,
চুলে চুলে,
বেঁধে যায় জট!
আর প্রায় রোজ তাড়া খেতে হয়
সেই অপরাধে!


এই সবই ভাবতে ভাবতে
ঘড়ির কাটা গলে
কতটা সময় পেরুলো,
টেরই পায়নি আমার চোখ!
এই দেখো আমার দু-আধটা চুল ও পেঁকেছে!
হা হা হা..


** এই ছেলে দুটো চা পাঠিও তো,
একটা চিনি ছাড়া রঙ চা,
আরেকটা দুধ চিনি বেশী করে দিও...
- না না, ডায়াবেটিস নয়।
জানোই তো,
তোমার প্রেমে পরবার পর থেকে
চিনি আর কখনো মিষ্টি লাগেনি আমার।
এখনো লাগে না....**


এমনি করে হঠাৎ দেখা হবে,
ভাবতেও পারিনি,
তারপর কেমন আছো?
কেমন চলছে সংসার?