বড় হয়ে কি হব আমি?
চটপটিওয়ালা নাকি-
তিন গোয়েন্দার কিশোর পাশা?
একটা সাইকেলের
বড় স্বপ্ন ছিলো আমার।
জীবনানন্দের কবিতার পেঁচা-
নাকি ধূসর নদীর ঢেউ!


কত কিছুই না হব আমি।
বড় হয়ে একাই কিনবো -
দশ টাকার মিমি চকলেট;
আকাশের বুকে শব্দ গতিতে,
F-29 বিমানের পাইলট।
সমাজ চেতনার ধ্বজা উড়িয়ে,
চির উন্নত শির,
কোন বিপ্লবী নেতা!


বড় হয়ে দূর্গাপদ হব;
অংকের ঝাঁজালো ত্রিকোনমিতি
চকের গুড়ায় মাখাবো মুখে;
কিংবা-
অব্যক্ত কথা হয়ে যাবো
কবিতার অমর পংক্তিতে!
স্কুলের সেই ঘণ্টা মামার মত
টং টং টং কারে দিবো ছুটি!


বড় হয়ে হব স্বাধীনতা,
বন্দী ঘরের শিকল ছিন্ন করে
অবারিত আনন্দ হব!
মাকে না বলেই-
বাইরে বেরবো যখন তখন।
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে-
মিশে যাবো শহরের অলিতে গলিতে
     ক্লান্তি হীন কোন রোদ্দুর দুপুরে!


কিন্তু,
বড় হয়ে;
কিছুই হতে পারিনি আমি!
ট্যালেন্টপুলের বৃত্তি, আর-
স্ট্যান্ড মার্কের দৌড়ে;
ছাপোষা মধ্যবিত্ত তায়
   আবদ্ধ আমার পরিচয়!
স্বাধীনতার পরিবর্তে-
দায়িত্বের কঠিন শৃঙ্খলে-
   শুধুই বড় হবার অভিনয়!