হঠাৎ এসে বসল আমার পাশে,
তাঁর উষ্ণ গায়ের ছোঁয়ায়-
   আর পৌষ মাখানো হাওয়ায়;
হঠাৎ এসে লাগলো গালে চুল,
কি জানি কি? ভীষণ হল ভুল!
ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি এক পলকে,
আমার পাশে অজানা এক মেয়ে।
চলন্ত ঐ বাসের যাত্রী মোরা,
ঘণ্টা খানেক এক সাথে তাই ঘোরা।।
আচমকা সে আমার দিকে চায়-
ভাবি আমি; বলবে কি? “হ্যালো, হায়”
অবাক কাণ্ড! যতি হল ছন্দে,
যেন কোনও বিশ্রী দুর্গন্ধে;
একটু সরে বসল আমার থেকে;
বলতে তাইত ইচ্ছে হল অজানা সেই মেয়েকে-
পুরুষ সঙ্গে এতই যদি ভয়
বসলে কেন আমার পাশে, জানতে ইচ্ছে হয়!
হঠাৎ তখন বাসটা গেল থেমে,
সামনে দেখি বিশাল বড় জ্যাম;
টিকেট চেকার সামনে এসে বলে-
    “টিকেট টা দ্যান, কোথায় যাবেন ম্যাম?”
মেয়েটি বলে, “ টিকেট হয়নি কাটা”-
এই বলে সে ব্যাগ টি বাহির করে-
অবাক কাণ্ড! ব্যাগ রয়েছে, নেই ত তাতে টাকা;
ভুল করে তাঁর টাকা যে রয় ঘরে।
সামনে যে তাঁর ভীষণ বিপদ,
     লজ্জাতে গাল কাটা-
জড়ো সড়ো মেয়েটি যেন, ভয়েতে রয় সাটা।
ভালো করে লক্ষ্য করি-
শ্যামলা গায়ের রং;
কাজল আঁকা চোখে তাহার, কৃষ্ণকলি ঢং!
শূন্য দৃষ্টি অবাক চাহনিতে;
      ত্রস্ত তাহার, ব্যস্ত বিচরণ।
সাহস করে বলেই ফেলি,
     “কোথায় যাবেন? ভাড়া টাই বা কত?”
এবার তাহার অগ্নি দৃষ্টি আমায় উপনীত।
অযাচিত উপকারের সময় হয় যে শেষ;
    ভীড় ঠেলে সে নেমে গেলেও-
        ক্ষনিক থাকে রেশ।।