জেনে গ্যাছি, দুজনে দুপথের পথিক সবশেষে।
জেনে গ্যাছি, শীত তোমার দূর্সম্পর্কের প্রেমিক,
কুয়াশায় রোদ সরিয়ে সম্মতিহীন বুকে যে রেখেছিলো হাত।


তুমিও জেনেছো,
অযাচিত অপেক্ষায় আমি,
তিরতির করে কেপেকেপে ওঠা হারিয়ে ফেলা মূহুর্তের খোঁজে
আমি দাগ কেটে কেটে মরে যাওয়া ক্যালেন্ডার এক।


তারপর প্রকৃতির হেঁয়ালী আচরণে
দুজনেই এসেছি কিছুটা সময়, কয়েক সন্ধ্যা পাশাপাশি বসে গন্ধ মাখতে।


হঠাত কবিতায় স্থান করে নাও তুমি,
হঠাত মনের অজান্তে নিষিদ্ধ যাত্রার পূর্বাভাষ।
তখনই ব্যারিকেড অনিশ্চিতের নিষিদ্ধ যাত্রায়,
আটকে দেই জানলা দরোজা সন্তর্পণ বিদ্যায়।


তারপর কথা হবেনা,
তারপর দ্যাখা হবেনা,
তারপর আমি আমার স্মৃতিবিলাসী রোদে,
তারপর তুমি তোমার হারানো আকাশে মেঘ খুঁজে বেড়াচ্ছ।
অনেকদিন পর আবার দ্যাখায় আমি বলে দেবো হয়ত,
মাটির ভেতর জেগে উঠতে চাওয়া ফিসফাস,
গোপন জলসিড়ি সব ফেলে দিয়ে,
ফেলে দিয়ে সুখি হবার কিছুটা প্রয়াসে,
হতে চেয়ে মিশে মিলে জলকণা,
কান্নার মিছিলে,
প্রত্যাখ্যাত কার্ফুতে।
দ্বিধাতে কাছে থাকার চেয়ে,
ঢের ভালো দ্বিধাহীন দূরে থাকা কিভাবে রপ্ত করেছিলাম আমি?


অথচ খেয়াল করিনি,
এসব লিখতে লিখতে ইতিহাসের ঠোঁটে নেমে আসে অসুখ।
রাত দীর্ঘায়িত হতে থাকে ভেঙে দিয়ে আমার প্রতিটা সাহস।
ভুল বানানে অস্পৃশ্য ভালোবাসা।
নিষিদ্ধ লোবানে ভালোবাসা ছিলোনা--
মৃত্যু পরবর্তী সাক্ষাৎকারে তুমি বলেছিলে, আমার স্মরণে।