একটা কবিতা লিখতে,
আমাকে রাষ্ট্রের উঁচুতম শীতাতপনিয়ন্ত্রক কক্ষ্য থেকে নিষেধ করা হয়েছিলো,
আমাকে নিষেধ করা হয়েছিলো ধর্মের উঁচুতলা থেকে,
যেখানে ঈশ্বরের যাতায়াত কষ্টসাধ্য।
আমাকে নিষেধ করেছিলো বগলে বিউগল বাজানো সভাসদ।
আমাকে নিষেধ করেছিলো ফাগুনের রাধাচূড়া।
আমাকে নিষেধ করেছিলো সমুদ্রঝড়।
আমাকে নিষেধ করে নিষিদ্ধ উরুস্তম্ভ দ্যাখানো হয়েছিলো, গণতান্ত্রিক বেশ্যালয়ে।


তবুও লিখছি,
লিখছি কারণ নিত্য-নতুন নাটকে হারিয়ে ফেলছি সুগভীর যোনীপথ।
লিখছি কারণ সরকারের ভেতর জন্ম নেয়া ক্লিভেজীয় বিপ্লবাত্মক
পাঞ্জাবী ব্যবসায়ী আজ আবার দিনেরাতের মশাল মিছিলে।
লিখছি কারণ সর্বোচ্চ বেতনভুক থাকতেও চুরী হয় রক্ত-ঘাম কেন্দ্রীয় মশকরায়!
লিখছি কারণ বেশ্যার দালাল ঠিক করে দেয় জাতীয় সংগীত গাইবে কারা?
লিখছি কারণ ফোকাস ডিফোকাসের নোংরামো হলদেটে আভার
নোঙর ফেলে ধর্ষিতার মুখাবয়ব জুড়ে।
লিখছি কারণ ভুল শব্দের ব্যবহারে আজ আমিও নিখোঁজ হতে পারি,
আমার লাশ খুঁজে পেতে নাও পারে আমার স্বজন।
কোনো এক হতভম্ব জলপাই জিপ আমায় নিয়ে হতে পারে নিরুদ্দেশ।
লিখছি কারণ আমি বেশ্যার জারজ নই,
লিখছি কারণ আমি মাণবতার ধ্বজভঙ্গ দন্ড নই,
লিখছি কারণ আমি রক্তস্নাত বাংলার সন্তান,
লিখছি কারণ লিখতেই হবে বলে।


পতাকা, তুমি সরে দাড়াও- আমি শ্লোগান লিখছি।
মা, তুমি চোখ মুছে হাসো- আমি বিক্রি হইনি।
ঈশ্বর, তুমি চোখ মেলো- আমি পচে যাইনি।
রাষ্ট্র, তুমি অবনত হও- নিরাপত্তাহীণতায়।
ধর্ম, তুমি নতজানু হও- ভুল সন্তানের ভুল ব্যাখ্যায়।
তনু, তনু তুমি ঘুমাও- তোমাকে মরণোত্তর বিচারহীণতা দিচ্ছি!
তোমার লাশ, ছিন্নভিন্ন লাশের উপর ছিটিয়ে দিচ্ছি  বিশহাজার টাকা মাত্র!
আমি ব্যর্থ তোমাকে ধর্ষন পরবর্তী বারংবার ধর্ষণ থেকে বাঁচাতে।
আমি ব্যর্থ আজ তাই সমুদ্রে হলুদের আস্তরণ।
আমি ব্যর্থ তাই কবির কথাটাই আবার লিখছি-
"শাহবাগ, তুমি চেতনা বেচো কিন্তু চা বেচোনা ক্যান!"