পাখি উড়তে চাইছে, দ্যাখো পাখি উড়ছেই।
হৃদপিন্ড থেকে কালো শিরা বেয়ে, উজান থেকে ভাটিতে।
উত্তর থেকে দক্ষিণ কিংবা তোমার কেবলা পশ্চিম থেকে পুবে।

থামাথামি নেই, চলছে এক আকাশে পাখির লংমার্চ!
আজ ছায়া থেকে অন্ধকার নামে, জেগে উঠে এক মৃদু কম্পনে।
থেমে যাওয়া ঝি-ঝি পোকার শ্লোগানে মিথ্যে অহমিকার
ছাপ্পান্ন রীল ভালোবাসায় উনিশ রীল ব্ল্যাংক!

এ- আর নতুন কী- বলো!
তুমিহীনতার ভয়ংকর অভ্যাসগত অভ্যাস, এ তো নতুন কিছু নয়।

ব্লাউজ বন্দী শহরে অন্তর্বাসহীন নিরাপত্তায়,
তুমি যাকে অনায়াসে মৃত্যু বলতে পারো,
দেহ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমাকে বলতে হয় –
উঁহু আমি নিখোঁজ!
নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিপ্রচার যোগ্য নয় বলে

সাহিত্য সাময়িকির পাতায় ছাপা হয়-
দৈনন্দিন মৃত্যু এলিজি অথবা একটি জন্মের সাথে মিথ্যা সহবাস!
পাখি ছটফট করে আকাশে আর শোকেসের প্রজাপতিগণ
বৃষ্টি বিভোর ঘুমে মত্ত।

আমি কে এবং কবেকার এইসব নিত্যকার প্রশ্নে আমিই
হারিয়ে যাই উত্তাল যুবতী সন্ধ্যায়। একা পরীবাগের রাস্তায়।"
কবি'র আত্মহত্যার ইচ্ছেতে লেখা চীরকুট হয়ে যায়
অসামান্য কবিতা; এও ঈশ্বরের এক ভয়ানক প্রতিশোধগ্রহণ।
আজন্ম ঈশ্বর যে কবি'কে প্রতিদন্দ্বীই মনে করে আসলেন।

অতএব,

ধ্রুপদী বিষন্নতায় আলগোছে একটা শব্দ, হুমম একটা শব্দ সামনে
বোতাম সম্বলিত ব্লাউজের আধুনিক পোষাকী সভ্যতার
নিরংকুশ আধিপত্যে শীতের জবুথবু সন্ধ্যা হয়ে যায়।
আর আমি মানিক চাটুজ্জের এক জেদী গল্প "প্রাগৈতিহাসিক"
এর কাশবনের মাঝে জেগে থাকা ট্রেন হয়ে খুজে বেড়াই পার্থক্য
"স্বাধীনতা এবং স্বেচ্ছাচারীতার"...

খুঁজে  পেলাম কি পেলামনা তা অবান্তর,
তাই শেষঅব্দি লিখে দেই কাকবন্ধ্যা আকাশে-
প্রিয়তমা, আমি তোমাতেই ফিরবো, জানলা খুলে রেখো।