অই যে ছবি লটকে রেখেছো,তাতে কি ঢাকনা দেয়া আছে?
ছবিতে তোমার পাশে একটা মেয়েছেলে আছে,
সবুজের ভেতর থেকে সূর্য উঠছে বলেও মনে হচ্ছে।
দুজনের মুখে আবার হাসিও আছে দেখছি?
তা এই একছবিই কি  তোমার বুকে বসে অপেক্ষার ভাত রাঁধছে, নাকি?


বেলারুশ থেকে ভিয়েতনাম কতটা সূর্যপথ তা তোমার দিব্যি মূখস্থ?
"অ" থেকে "আ" কতটা নিঃশ্বাস দূরত্বে তাও গুনে বলে দিচ্ছো!
অথচ নিজেকে নিয়ে থেমে থেমে চলা সময়ে,
মুখের উপর যে পত্রিকা দিয়েছো দেখো, তা গত বুধবারের!
আর পারিনা তোমাকে নিয়ে , এতদিন ধরে এক পত্রিকা মুখে শুয়ে কি কেউ থাকে?
আমার হয়েছে যত জ্বালা, ডাকাতের ফিমেল ভার্সন নিবেদিত
জীবনাংশে সেক্সপিয়ারকে ফ্রয়েডে চুবিয়ে,
হ্যামলেট আর ম্যাকবেথ মিলিয়ে বেদরকারি,
আস্তাকুড়ে ফেলে দেয়া পোড়াভাত তো উঠিয়েই আনতে হয়।
আমায়!


ডিসগাস্টিং.......


শোনো,
পলাশীর যুদ্ধ- পৃষ্ঠা ৩১৪.
তীতুর লেঠেল- বঙ্গভঙ্গ ৫৬৬-৫৮৯.
দেশভাগ- ভাষা আন্দোলন ৫৯৬-৫৯৯.
মাঝখানে সূর্যসেন আর রাসবিহারী বসু ছিনতাই!
ছয়দফা - মুক্তিযুদ্ধ সব পৃষ্ঠা উইপোকার খাবার হয়, রাজাকারের আস্ফালনে।
শহীদ মিলন দিবসে স্বৈরাচারের হাত ধরে গণতন্ত্রমূলক ঘণ্টি বাঁজে!
বইয়ের অংকে শিখাচ্ছে দুধ আর পানিরছিটে মিলিয়ে লাভেরগুড়!
সবার সব হচ্ছে কেবল বটগাছ হয়েছো তুমিই, কেবোল।
সবাই যাচ্ছে এদিকওদিক , দলবদলে হাতবদলে।
তুমি আমড়াগাছি এক ফুলষ্টপে ননষ্টপ!
জাষ্ট ফালতু....


শোনো দেবদাসও কিন্তু বিরহে ডুবে, ঘুমিয়েছিল অন্যবুকে!
এদিকে তাকাও...


আরে শালা সবটাই পন্য, নখ ভর্তি ভোররাত থেকে বুক ভর্তি অমাবস্যা।
সব- সবটাই সাবটাইটেলহীন ইশারা নিলামপ্রক্রিয়ার পন্য!
মানো আর নাইবা মানো।


রিফরমেশনের সময়ে  শোকের আয়ু চারদিন,  নিজেকে গোত্রীয়ভুক্ত করে নাও।
শব্দঋণ এর ভারে নুয়ে পড়া বৃষ্টিতে আর কত?
মুখের পত্রিকা পশ্চাতে ফেলে একটা ঘষামাজা বিকেলে বেরিয়ে
পড়ো।
বেরিয়ে পড়ো ক্যামোফ্লাজের হরিণমুখি আলোতে।
জুটিয়ে নাও প্রেমিকা অথবা গণিকা,
একই মূল্যমানের দুটো আলাদা নামই তো।
মদ খেয়ে দেববাবু হয়ে কয়েকশো সাহিত্যিক-ফাহিত্যিক ক্লিভেজে কিনে.....


--- আস্তে মশাই, আস্তে। এবার দম নিন। থামুন একটু!
অনেকতো শুনলাম বাবু, এবার না হয় সিনে ঢুকুন।
পর্দা নামতে বাকি নেই আর। নাটক শেষ, নিঃশ্বাসও মৃতপ্রায়!
প্রেমিকতো, প্রেমিকই তাইনা ; ভগ্নাংশের উন্নয়নবিদ কিংবা যৌণকর্মী তো আর নয়।
পূন্যের ঘরে শুন্যতার উইল.....
বাদ দিন ও আপনার বোধগম্য বিষয় নয়।


সোয়েব মাহমুদ।