এইযে, এই যে শুনুন। আপনাকেই বলছি।
আপনার ভালো’র জন্য বলছি।
চলে যান এখান থেকে,
চলে যান ছদ্মবেশী  ভদ্র এই পাড়া থেকে।

যার ঠিকুজি বুকে নিয়ে, চোখে দ্যাখে দ্যাখে খুঁজছেন যাকে
এ পাড়ায়।
ঘর, কখনওই বাড়ি ফেরেনি বলে।
শহুরে চায়ের কাপে প্রেমিকার ঠোঁট পড়েনি বলে।
বেহিসেবি ভালোবাসায় মাতাল , জীবনের মতন বেহেড মাতাল
উনি গুটিয়ে আঙুল , কাগজ থেকে।
শব্দের ওপর থেকে উঠিয়ে কলম।
সেই যে এক সন্ধ্যায় অভিমানী দু চোখে তেত্রিশ কোটি চোখের কান্না ধরে
হেঁটে চলে গ্যাছেন একা জাহাজীর মতন।
তাকে আর পাওয়া যায়নি,
হ্যাঁ, না তাকে -  না তার ময়নাতদন্ত পরবর্তী অবয়ব,
কিছুই পাওয়া যায়নি।

তাই বলছি
চলে যান , এপাড়া থেকে।
খুঁজে কি আর হবে বলুন?
ভারি নাছোরবান্দা দেখছি আপনি,
বললাম তো যান।
যাচ্ছেন না ......

শুনুন তবে,
এখানেই, হ্যাঁ ষোলো’র বইমেলা প্রাঙ্গনে,
ঠিক যেখানে আপনি এখন দাঁড়ানো।
এখান থেকেই বলেছিলেন-
কবিতা একটা চলমান মিছিল, আমি এক কর্মী হবার ইচ্ছেতে ,
ভয়ানক আত্মহত্যাপ্রবণ ইচ্ছেতে শ্লোগান টানি,
দেয়ালে সাটাই আমার শব্দের ম্যুরাল
– “পত্রিকা অফিস চেনা হয়না আমার, তাতে ক্ষতি নেই।
যাওয়া হয়না বোদ্ধা মহলের আশাভরী রাগের বিশুদ্ধ চর্চায়, ( রোল নাম্বার প্রদানের ক্লাশরুম!!)
মাত্রা অক্ষর ছন্দ নিয়ে এত ভাবনার থোড়াই কেয়ার করি আমি,
কারন আমি  জানি কবিতা আমার প্রেমিকা।
আর ভালোবাসায় নতজানু প্রেমিকার কপাল উঠিয়ে চুমু
খাবার কোনও লিপিবদ্ধ নিয়মকানুন আছে কিনা জানিনা আমি।
যেমন জানি ভালোবাসার কোনও সংবিধান। হয়না, হতে নেই।

বন্ধণীহীন বক্ষে লিখেছিলেন-
( বিশ্বাস করি যা কিছুই লিখা হয় কোনও না কোনও ভাবে তা একটা ছন্দে পড়বেই।
এটা নিয়ে তাত্ত্বিক কথা বার্তায় বিশ্লেষক হবার জন্য জন্মায় নি কবি।)

উনি বলেছিলেন
“ চেষ্টায় কবিতা লেখার, অপেক্ষা করছি মৃত্যুর।
জানি আমি,
একটা কবিতা লেখার পরই ঘটবে মৃত্যু...
তারপর,
একশত বছর পর,
কোনও এক পুরানো বইয়ের সংগ্রহশালায় ধুলো পড়া
বইটার উপর থেকে আঁচলে মুছে নাম,
কেউ পড়বে,
কেউ পড়বে যতনে আমাকে,
বুকে ধরবে কবিতা,
আমি কেবল এভাবেই এক কবিতায় অমরত্ব চাই।”

আজ বইমেলা শেষ তাই অসার সে সব শ্লোগাণ,
রকমারী র্যাঙ্কিং এর রকিং চেয়ারে দোল খায় সিঁথির সিঁদুর।

বাদ দিন, বাদ দিন
এসব ফালতু বানান ভুলের অশিক্ষিত রাস্তার বাজারী মানুষের স্বপ্নের আঁকিবুকি।
ছুড়ে ফেলে দিন  ঠিকুজি, ডাষ্টবিনে।
যেভাবে সেমিনারী কবি’রা  কটাক্ষ করেছিলো,
বাতিল করে দিয়েছিলো ভয়ার্ত কুপমুন্ডক বিখ্যাত সমাজ!
এসকল কথা শুনে!!

বাদ দিন,
তারপর কোক খেয়ে কাটিয়ে শোক,
নোঙরামো ভরা কম্প্রোমাইজকে বলুন সেক্রিফাইস,
অন্তর্বাসকে ঘৃণা করে জানলা আটকে ঝুলিয়ে রাখুন ছদ্মনামের পেন্ডুলাম!

চলে যান,
চলে যান প্লিইজ।
এখান থেকে চলে যান ঈশ্বরের কোলবালিশে।
ভয়ানক ভালোবাসার মুদ্রাদোষের আকাশ ছাড়ুনতো ,
এখানে উনি  নেই,

স্রেফ জেনে রাখুন...................... সোয়েব মাহমুদ এখন আর এখানে থাকেন না।।