সবার আগে মোরগ ডাহে
উঠে আমার মা,
কনকনাকন শীতের সহাল
ঘুম যে ভাঙ্গে না।


উঠ্ নারে বাপ সহাল হইছে
মক্তবে যাবে নাহ?
কম্বল মুড়ি দিয়া থাকি
ঘুমের রেশ যে কাটে না।


রাগের স্বরে মায়ের সাথে
করেছি অভিমান,
তবু’ত মা কাছে এসে
বলছে যে বাপজান।


তোমার জন্য বানামো আমি
শীতের পুলি পিঠা,
কেমন মজা পাবে তুমি
বলনা আমার বেটা।


মায়ের কথায় বেজায় খুশি
ছুটে যায় পাঠশালায়,
হুজুর মশাই দেরির দায়ে
বেত দিতে ভুলে নাই।


ছুটি হলে এক দৌড়ে
মায়ের কাছে যাই,
মাগো তোমার মিষ্টি পিঠার
ঘ্রাণ যে আমি পাই।


পিঠা খেয়ে ইশকুলে যাও
আবার মায়ের আদেশ,
না মানিলে বকা খেতে
লাগে  কি যে বেশ।


ইশকুল ফাঁকি দিয়া আমি
মাঠে ঘাটে ফিরি,
দুশ্চিন্তায় পড়ে যে মা
হলে একটু দেরি।


পইড়া আইছি ভাত দাও মা
জোড়ে বই খাতা রাখি,
এভাবে কি দেয়া যায় আর
মায়ের চোখে ফাঁকি।


আষাঢ় মাসে খালে বিলে
ডুবায় আমি দীঘীর জলে,
উঠে আয় বাপ মারবনা তোরে
আনত ছলেবলে।


সেই দিন কি ফিরে পাব
ব্যস্ত নগর জীবন,
কত মধুর ছিলরে ভাই
আমার মায়ের শাসন।।


এম. এইচ শ্রাবন।
তারিখঃ০৬/১০/২০২১ইং