আহা রে! শব্দ কই হেথা, সব চুপচাপ
নিঃসাড়ে পড়ে আছে মন, বাকযন্ত্র, যৌনাঙ্গ
আর যত ক্ষুধা, ক্ষুধার চিৎকার,
ঘটনার বিরাশি সিক্কার থাপ্পড় এক,
আঘাতে লাল অনুভূতি, নিঃশব্দে এবার
দিন গুজরান মরে যাওয়ার আগে পর্যন্ত।


মাটিতে লাল এক পোকা হাঁটে,
সবুজ ঘাসের আড়ালে বিপন্ন অস্তিত্ব,
যত ক্ষুদ্র হোক তার বিষ দাঁত
যন্ত্রণার বন্যা বইয়ে দিতে পারে শরীরে –
শুধুই শরীর-শরীর; অন্য কথা বল।
যেখানে নির্বাক কামনার ঘাম গন্ধে
পুড়বে না কোনদিন নাকের লোম।
তোমাকে খুঁজতে হবে না ধর্মের মোটা মোটা বই,
পড়তে হবে না মোমবাতির আলোতে সামাজিক তত্ত্ব,
শুধু একবার উচ্চারিত হোক- যখন আমি দাঁড়িয়ে
নরকের দরজার সামনে- দ্বিধাগ্রস্ত প্রহরীর সামনে
তার কানে তালা ফেলে দিও চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে
-আমাকে ভালোবেসে ছিলে, আমাকে ভালোবেসে ছিলে।