ঘোমটা খানা একটু তোল,
এই আবছা আলোর অন্ধকারের রূপে তোমায় একটু দেখি,
রঙিন বেশে রঙিন ফুলে রঙিন প্রজাপতি হয়ে এলো আজ আমার ঘরে।
শীতল কিছু মিঠা হাওয়ার পরশ আহ!!জগৎ খানি বুঝি ভুলতে বসছি,
মিষ্ট ঘাসের গন্ধে দুষ্ট ঘাস ফড়িং এর দল বুঝি খেলা করছে,ডিগ্‌বাজিতে
টিনের চালার ফোঁকড় দিয়ে চাঁদনি রশ্নি, হুড়হুড়িয়ে এসে খিলখিলিয়ে হাসছে,
চর্কিপাকে পরিপাটি নাভীর ফক্কিফাঁক ভেদ করে ।
আমি আয়নায় দেখেছি,তোমার চশমাপাতা আঁখির,পট্‌পটি হরতকী,
আলোর মঞ্চে,কি রূপের ধারা,লহরের পর লহর দন্ডবৎ গজ্‌রাতে ।
প্রেমের অমৃতস্নানে ভিজিয়ে দাও হে প্রিয়ে,তোমার বাহুবন্ধনে,
উত্তাল নৃত্যের ছন্দে,আসবে ঝড়,তোমার উঘারি বুকের সমুদ্রে,উরস পরশি দৃষ্টিতে।
ওগো অপরিচিতা সন্ধ্যার ফুল,নববধু,অঙ্গুলিপাত তোমার রসালো অধরে,
উর্মিমুখর সাগরের মেঘচুম্বিত অস্তগিরির অম্বরতলে,
তুমি তৃষা মেটাও ক্ষৎপিপাসার অন্বেষণে,হৃদয়ের উৎসবে ।
স্রোত ধারা বড়ই নির্দয়,স্বর্গের দ্বার খুঁজি,বিরামহীন রাত্রিশর্বরীতে,
অচেনা পরশ,ভাসমান,উচ্ছ্বাসিয়া,সহস্রবিধ গুপ্ত উষ্ণ সুখে নির্জনে,চম্পকবনে ।


রচনাকাল
১৩।০৪।২০১৪
ইউ এ ই ।