হে বসুমতি তোমায় প্রণাম,
জন্ম নিয়ে তোমার কোলে আগে পড়লাম।
তুমি সর্বসুখ,সর্বসঙ্গ,সর্বৈশ্বর্যময়,
সকল দূর্দিনের সান্ত্বনা খুঁজি সকল আশ্রয়।
তোমায় মূর্তিমতী প্রতিমা সাজিয়ে করি প্রভুর আরাধনা,
সর্বপ্রীতি, সর্বসেবা,জননী ওগো তোমার নাইকো তুলনা।
ধৈর্যক্ষমা অসীম তোমার, অক্ষয় মনসম্পদ,
খনন করি তোমার বুকে,আয়েশ লোভে,নেই কোন প্রতিমত।
গর্ব-অহংকারহীন মঞ্জরীর মতো,নেই কোন অভিলাষ,
অগ্নিদাহে নিজে জ্বলো,দীন-ছদ্ম-রূপে করো না সর্বনাশ ।
শুদ্ধচিত্তে সুসংযতে,আঁচল রেখেছো পেতে,
আঁকড়ে রেখেছো মায়ার জগৎ রত্নমণির প্রীতে।
তোমার গৌরবের মহোৎসব ,নির্বাক স্নিগ্ধতম,
হৃৎপিণ্ডের খাদল তুলি তোমার বুকের,তবু কর তুমি ক্ষম।
ত্রাসের স্পন্দন শংকরীর তাণ্ডব চাষে,খুড়ি তোমার দেহের আঁশ,
তবু সুজলা,সুফলা ফসল ফলাও অহংকারহীন স্নেহমোহে সাজ।
তোমার দেহের দারুণ গন্ধে ভাসি,স্নিগ্ধপরশে,ওহে হে কল্যাণী,
রত্নভূষণে সাজিয়ে রেখো,মরনের পর,চূর্ণিয়া মাটি আমার দেহখানি।


রচনাকাল
১৬।০৪।২০১৪
ইউ এ ই