বালিকা কাঁকন-দুখানি অত বেশি ঝুমুর তালে বাজিও না,
সর্বনাশা মধুর আবেগ বুঝি এই ভাঙতে  চললো,চঞ্চলতায়,
আমি পুঁথি লিখছি তোমার চোখের পাতায়,এই নড়ো না যেন!!
স্বর্গ মর্তের দ্বার খুঁজছি,তোমার ঐ কালো তিলে,উষ্ণীষকমল অঙ্গদে
কিন্তু 'মুখাগ্রে তোমার অভিমানের ছাপ, উপাসনায় প্রাচীর  হয়ে দাঁড়িয়েছে,
একটু হাসো,রতনভূষণরাজি প্রাণে আরশি জুড়াই ।
সোহাগে বেঁধে উচ্ছাসি,মানবী,গম্ভীরমুখে,মহামহিমা আড়াল করে বসেছ কেন ?
একটু  তাকাও আমায়,আমি প্রাণমিলভূপে, চুপে চুপে,পুঁথিগুলি সাজাই।
জানি হে বালিকা,তুমি বুদ্ধির চাষ করেছো,অভিমানশ্রিত,সোনাআবরণে ঢাকা মুখয়বে,
যেথায় কেবল সুন্দরের রূপের ঝলকানি,ভেবো না আমি সেখানে ও ভীষণ মুগ্ধ!!
তোমার দোপাট্টার চঞ্চল অঞ্চল খানি,সাজিয়ে রাখো,আমি দেখি নয়ন ভরে,
আমার পুঁথির শব্দের ঝংকারে,উল্লাসিত হৃদয় বিলে।
কৃপানির্ঝর অধরে বালিকার ঈষত্‍‌ হাস্যলেশ,থৈ থৈ,বিস্মিত আমি!!
অবাক করা অগ্নিশর্ম দাঁতের ঝনত্‍‌কার,চমত্‍‌কার,হরিত্‍‌বর্ণ!!আহ!!
কপালের বিন্দু বিন্দু ঘর্ম গুলো,এসো চুষে দিই,বড্ড ভিজিয়ে দিচ্ছে তোমায়,
রক্তজবা অধরে,অঙ্কিত করি উষ্ণতার প্রখরমুর্তিতে ভালোবাসার আস্তরে,
তবু ও রাগ করো না সোনা,তোমার উদাসীন আনমনা আমায় পাগল করে তোলে,
অমৃত-উত্‍‌স-ধারার ক্ষুধায় অসীম ভালোবাসার প্রখর স্রোতে ।


রচনাকাল
১৭।০৪।২০১৪
ইউ এ ই ।