শিশুর জন্মক্রন্দন বড়ই মধুর,যেন পুষ্পের হাসি স্বর্গ-মর্ত্ত্যলোকে!!
নিষ্পাপ চাউনি,যেন জগদীশ্বর-ঈশ্বর স্বর্গীয় দূত !!
সেখানে রক্তলিপ্ত যৌবনের অন্তিম পিপাসায় ভালোবাসার ধোঁয়ায় গড়ে উঠা,
তুষারের তলে সুপ্ত অবসন্ন প্রাণ,ক্ষনিকের সুখের মিলনের ফসল,আজ আস্তাকুড়ে,
সপ্তরথী সভ্যতায় লোক লজ্জার ভয়ে,সৃষ্টি-বৈরী মহাত্রাসে এক জননী।
ধরিত্রীর বুকে,সমাজের চোখে, সে বড় পাপী ,ঊর্মির হিন্দোল্ আজ বড় অসহায়,
সমাজ সংসার তার নাম দিবে,মরু-নির্ঝর ঝরা পাতা,অবাঞ্ছিত ফুল।
কুমারীর প্রসবে দুনিয়ার আলো কতটুকু,অভিমানী,জোড়া কাঁকন-চুড়ির মত,
ত্রাসের সঞ্চারি কিংবা,ভূমি-কম্পের ফনা হয়ে উঠে,তা বোধগম্যের আড়লে।
ক্ষত্রিয়হীন শিশু, উৎপীড়িত স্বজন হারা,গৃহহারা,অনাদরে ফুটপাতে ঠাঁই,
ষোড়শীর উত্তেজিত যৌবন পাপের বোঝা,আজ তার শিরে,
কি করে বইবে সে ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা,নিদারুণ সুনিবিড় ব্যথা,জীবনভর!!
সবায় যখন চিৎকার করে ডেকে বলে উঠবে"তুই ঝরা ফুল"!!
শিশুর বক্ষে আগ্নেয়াদ্রি, সামনে জিব্রাইলের আগুনের অন্ধকার।


রচনাকাল
১৯।৪।২০১৪
ইউ এ ই।