{ঘটক}
কি হে ঘটক,চক্ষু মেলে খুঁজি তোমায়,সারা গাঁ এর আঙিনা কোণে,
আজ  আকাশের চাঁদ যেন তুমি,সুনীল সিন্ধুতীরে,যাচ্ছ কোন রনে?
ঘটক মধুর হেসে, দাঁত বের করে,বললো পেলাম এক খান মেয়ে,
রূপে গুনে অনন্যা, সুশ্রী মুখখানা,ঠিকানা নাও দেখে  আসো গিয়ে।
                             {আয়োজন}
সূর্য উঠলো শিশির প্রভাত জলে গায়ে,  হরেক আলোর  রূপে ঘেরা,
স্নিগ্ধ,গীতগন্ধে-ভরা প্রসাধনী'র ভারে পূর্ণ স্যুটকেস ,মন মাতোয়ারা।
মাছরাঙা রঙ্গের  শাড়ির  আঁচল খানি, পুষ্পক অবিরল বনানীর  বুক,
তেজ পাতা'র নমুনায়,ঝলসানো আলো রূপ বাড়াবে বধুর উজ্জ্বল মুখ।
                                 {বিয়ে}
সুরের টানে,ঢোলের তালে,ঝুমুর নাচে,উল্লাস ভরে গ্রাম্য মেয়ের দল,
মন্ত্রের বানে বাঁধলো বন্ধন,সোহাগ মাদুলি,দাম্পত্যে পড়লো কুটুম্বতল।
রাগিনীসুরে মন মর্মরিলো,বিদায়ের ক্ষণে,নববধুর,মেহেদী রাঙ্গা হাতে,
ক্রন্দনময় পিতৃমাতৃমূর্তি'র ছাপ  বিষাদতায় কন্যা সমর্পিলো যে প্রাতে।
                            {যাচ্ছে যে ভাবে দিন}
বউ এর সাধ, ধিক্কারিলো,মায়ের মমতাকে ম্লানমনে পুত্র শ্বশুরালয়ে বাস,
কষ্টের মূর্তিমতী বিধবা মা আজ,মলিন দীপ শয়নশিয়রে,কাটায় দিন,মাস।
অচেনা রোগে শয্যায়,প্রসন্ন দৃষ্টি ফেলে আছে মা, ছেলে,বউ এর অপেক্ষায়,
ব্রতধ্যানে যখন মুদিলো আঁখি,ক্লান্ত হয়ে ধূপে,দীপে ফিরলো তারা যাতনায়।


রচনাকাল
০৫।০৫।২০১৪
ইউ এ ই ।