বার বছরের  থর-থর পরশ কুমারীর দেহে,যন্ত্রণার মহাকল্লোল,
মা চলে গেছে বাবা'কে ছেড়ে, ঐশ্বর্যের লোভে অন্যের হিল্লোল।
বাবা'র বুকে  ক্রন্দন-শ্বাস বিষ-বেদনা,কণা'র জ্বলন্ত হা-হুতাশ,
ক্ষুব্ধ হিয়ার সুনিবিড় ব্যাথা,কাঁকন-চুড়ির কন-কন ঝড়োউচ্ছাস।
মরু নির্ঝর  ঝর-ঝর  মনে, পঙ্গু বাবা'র  কষ্টের উন্মাদনার সুর,
কণা ঝি এর কাজে সংসার চলায়, কোনমতে,বৈজয়ন্তী বহু দূর।
গিন্নী'মা পানের থেকে চুন খসলে,কথার বাঁকে,খসায় শরীরখানা,
বক্ষ ফাটে নয়ন কাঁদে, গৈরিক ম্লানে,মনের বৃন্দাবনে ক্ষর ফনা।
এক সন্ধ্যায় কণা'র কুমারীর বেণীতে, কে যেন দিলো সুক্ষ টান,
রবির রাহু যেন গ্রাস করেছে,আঁখি তুলে দেখে বড় বাবুর প্রস্থাণ।
দুর্বাসা হাসি,হেসে  গেলো  বাবু,নোংরা ইঙ্গিত মাখা আঁখিপাতে,
বসুধা-বক্ষে আগ্নেয়াদ্রি দাবানল জ্বললো বুঝি,কণার সেই রাতে।
রক্তের স্রাবে জোয়ার উঠেছে, কণা'র  শ্যামলিমা,গুপ্ত নারীঙ্গমে,
রৌদ্র রবিতে ঝড় উঠেছে,বৈরী বাতাসে,মহাপ্রলয়ের উগ্র সঙ্গমে।
প্রাণ যায়,যায়,ভেঙে  চুরমার দেহ, দুর্বিনীত, নৃশংস, অত্যাচারে,
মরণ যেন ফাঁদ পেতেছে,কণা'র শিহরে,ভবের ছোট্ট এ,সংসারে।
কানুন কিনেছে টাকার বানে, প্রাচীর ভেদে,কণা সর্বনাশী শিখায়,
দুর্বল,অমরার অমৃত-সাধনা পিষে মাড়লো, কাঁটা-কুঞ্জে ফিধায়।
আর কত লাঞ্ছিত হবে,কণা কুমারী'রা,ক্ষ্যাপা দুর্বাসা,ভেঝা ঘাসে,
আমি হুজুগের কবি কেঁদে ভাসি,কণার নিদারুণ শিরিন সর্বনাশে।


রচনাকাল
১৩।০৫।২০১৪
ইউ এ ই ।