নারী ভরা দেহে দেখি,ক্ষেতে ভরা ধান,
ঝিলিমিলি রূপের স্বরুপ প্রভু আঁকিয়েছেন প্রাণ।
কাজল কালো আঁখিদু'টি'র পল্লবে'র ছায়া,
নর,বৃষ্টিতে ভিজে,উদাস বাতাসে,পরে তার মায়া।
ঐতিহ্য দিয়ে ঘেরা,দ্বিগুণ উচ্ছ্বাসে,ষোড়শীর মধুকর বুক,
তীরে'তে বেঁধেছে তরী,অমৃত সুখপলে,গতিহীন উষ্ণ সুখ ।
নারী'র নদীতে ঝড় উঠে তরুরাজি দোলে উদগ্র যৌবনায়,
নর অম্লান করে মন,নিরাকুল ফুলভারে,বসন্তের মোহনায়।
সুখমেঘে কাঁপে,নারী'র ঝিকিমিকি আলোয়,উঠে তরঙ্গের ঢেউ
মেঘ খন্ডিত থরে থরে,নর'র হৃদয় তপ্ত অনলে পুড়ে যে কেউ।
নারী'র কোমর কামিনীফুলের মেলা,কপোতযুগল তোলে সুখ,
তিমির তীরেতে তরুরাজি দোলে,গন্ধে-ভরা সুনীল কদম্বের বুক।
অলি থেকে ভুল ফোটে,দশ মাস দশ দিনে বকুল ফুলে বাগান,
অসীম কষ্টে নারী প্রসব করে,গায় জীবনের অশনি ঝনঝন জয়গান।
মমতায় নারী'র সোহাগের সারি,গগন ঢাকা কেতকী জলের ধারা,
মেঘে'তে পথরেখা লীন,ঘোর বিভাবরী,নারী রূপে মায়ের মমতা ছাড়া।


রচনাকাল                                                        {অসমাপ্ত}
২৪।০৫।২০১৪                    
ইউ এ ই ।