তুমি এলে তিমির রাত্রিতে,এমনি দিনে,
সেই দিন পাখিরা গেয়েছিলো গান,গাছে কলতান,
ধানের শীষের সুবাস সুজন চাষী, মাঝি মাল্লার গান,হলে দুঃখু মিয়া,
রুটির দোকানে চাকুরী, অবাদ চাঞ্চল্য,দুষ্টামী তে ভরা মন,
ক্ষণে ক্ষণে ভাবুক তুমি,মাটিতে লিখতে ছন্দে কথা
সাহিত্যের বানে ভাসতে নৌকা,অবাক হতো সবায় এত টুকুন ছেলে কি লিখে সব ?
নিজের বক্ষে পুঞ্জিত অভিমানে যখন তুমি বড্ড অসহায়,অনুভব করতে,
তখন তুমি কবিতা লিখতে,নিজেকে শান্তনা দিতে,
ভোরের ঘুমে তোমায় ভীষন ভাবাতো,তুমি চুমু দিতে শব্দের অলংকারে
কথার পর কথা,লাইনের পর লাইন কাব্য যেন তোমায় দেখে,হাঁপিয়ে উঠতো
"অথচ' তুমি চলে গেলে,সেই না ফেরার দেশে'।


তুমি এলে বিদ্রোহী হয়ে এই দিনে,
হে কবিবর,তুমি বাংলার সম্মান,
তুমি সাহিত্য শিখর,
তুমি গানের গীতিকার,
তুমি কাব্যের কালবৈশাখী,
তুমি কাব্যজ্ঞানের ভিক্ষাদানকারী,
তুমি বিদ্রোহী ভাষনের পূজার ডালা"
তুমি পড়িয়েছো সাহিত্যে কে মালা,
"অথচ' তুমি চলে গেলে,সেই না ফেরার দেশে'।


তুমি এলে,এই তিতিথে,এমনি দিনে,
বাঙালীর মুখে ভাষা তুলে দিতে,
ধুমের অন্ধকারে সাহিত্যের অতিথি হয়ে,
বুনে গেলে ধান ,ষোড়শী'র বুকের মধুকরের বান,
মুক্ত স্বাধীন সত্যের মান,ভেঙ্গে ফেল কারা'র ঐ লৌহকপাট,
এগিয়ে চলো রেখে দাপট ,
"অথচ' তুমি চলে গেলে,সেই না ফেরার দেশে'।


তুমি এলে,গিরি সংকট ক্ষণে এমনি দিনে,
যখনি ধুলায় লুটায় বাংলার স্বাধীনতা,পাক সেনারা,পাক মিছিলে,
কেড়ে নিচ্ছে শত মা-বোনের ইজ্জত,তরুনীর ভরাট বুকে আম পাকানো মৌসুমে,
উপছে পড়ছে,হায়নার দল,চুষে খায় কুকুরের জিহ্বায়,উচু স্তন,
সন্তান সম্ভবা রমনী'র উলঙ্গ বক্ষ,সুতাহীন শরীরে'র নাচ,
তোমার কলমের বলিষ্ঠ লেখনী'তে কেঁপে ছিলো সেই দিন হায়নার বুক,
তারা স্তব্দ জেন,অথচ' তুমি চলে গেলে,সেই না ফেরার দেশে'।
কে বলে তুমি এসে, আবার চলে গেছো?
ভুল,আমি বলবো ভুল,
তুমি আছো,থাকবে,আমার বুকে,নজরুল হয়ে,
আমাদের মাঝে,তোমার জন্ম শুধু আমাদের তরে ।


রচনাকাল
২৫।০৫।২০১৪
ইউ এ ই।