হে নন্দিনী,
গন্ধ শুকে নিও কেমন,
একটু লোনামুখী তায় না ?
কি করবো বলো,মাটির দেহ একটু মাটিয়াল তো হবে বৈকি,
চিকুর চিকিমিকে আলোর দিকে চকিয়া তাকাও,
তার দেহের তীরেতে কেমন তরুরাজি দোলছে,দ্বিগুণ উচ্ছ্বাসে,
তবু ও তার আলোয় কোথায় যেন ক্ষার অনুভব করছি,তাই না !!
হে সুবাসিনী,
বাম পাঁজরে একটু কান পেতে শুন ,
গিটারের ধ্বনি শুনছো তায় না?
হৃৎপিণ্ডের দ্রুত যন্ত্র খানি যেন,তোমার ছোঁয়া অনুভব করছে মৃদু কম্পনে,
তোমার এলোকেশী চুলের সুঘ্রাণ,আমার নাকের ডগা যেন ফেঁটে চৌচির,
তোমার রঙিন অধরের লাভা'র ঢেউয়ে বুক টা যেন ঠক ঠক ,ঠক ঠক করছে,
অপরাহ্ণের শীতল মেঘের মত,সবুজ হাওয়ায় ।
হে নিহারিনী,
মনচাঁদ টা অনুভব করো,
একটু ব্যকুল ভূষণ তাই না?
তরুমর্মর নদীকলতান ভরা,অনুরাগে সিক্ত যৌবননদী জোয়ারে,বাঁধবো সোহাগে,
উদাসীন আবেগের কুঞ্জদুয়ারে,ভালোবাসার অভিসারে,তোমার দেহ যমুনাপারে,
সাজাবো রজনীপ্রভাতে ফুলকল্লোল তারা ভরা বাগান,যামিনী কুসুমমালা'র মেলা,
মন টা কে শীতল করো হে মনমানবী।
হে সোহাগিনী
বাহুতে জড়াও,অভিসারে,
ভোরের নিশিতে খুলে রেখো তোমার বসনের দ্বার,আমি সব ধুয়ে দিবো প্রেম স্নানে,
অমৃতমাখা,তোমার কামিনীফুলের খসে পড়া রস,গাঢ় মেঘের বৃষ্টিতে।
বসন খানি এগিয়ে দিও,আমি জড়িয়ে দিবো তোমার কোমল দেহে,আলতো করে,
কাজল কালো আঁখি দু'টি কেতকি জলের প্রবাহ স্রোতের নিলামে রেখো,সুখ তরঙ্গে আমি সুরমা মেখে সাজিয়ে দিবো দেখবার তরে আমার অঙ্গদে।


রচনাকাল
২৬।০৫।২০১৪
ইউ এ ই।