যৌবনের ফাগুনে,বনে মনের আগুনে,চঞ্চল পুলকরাশি,
কল্পনার অবগাহনে,সাজায় সযতনে,কামিনী অঙ্গ মশী।
উঠিলো চাঁদ ভোরের আলোয়, উদাসীন মেঘের আকাশ,
পাতিলো ফাঁদ,জীবন ভেলায়,নববসন্তে অস্থিকুসুম ঘাস।
রজনী কাটে বয়স  তল্লাটে, বাঁধবে সোহাগ বাঁধনের ঘর।
রবি যায় পাটে,আঠারো'র মাঠে,কেঁপে কেঁপে আসে ঝড়।
চিরযুগের  নদী বহে  নিরবধি,বরষার ভরাট  বুক ছলছল,
হৃদয়মাঝে গদি,কলতান ভেদি,আবেগে ভাসায় পলপল।
রূপসাগরে রূপ ভেসে উঠে,অপরূপা রতনের জীবন তরী,
মহাসাগরের স্তুপ ফোটে, শতরূপা উনিশে সাজানো পরী।
প্রেমসুধা জ্বরে,মনের আকাশ ঘরে,অভিসারে যমুনাপারে,
স্বপ্ন আশা ঘিরে,ভালোবাসার তরে,গুপ্ত সুখে সারে সারে।
প্রাণের বীণা,মধুর সঞ্চারীনা, সুরে সুরে উধায় দেহমঞ্জরী,
অতলের কণা,করে আনাগোনা,স্তরে স্তরে রূপসীনীলপরী।
যৌবন বানে,স্বপ্ন দেখে গানে, ভেসে যায় আবেগ আসরে,
বিপদ আনে, গুপ্ত আলিঙ্গনে,ভুলপথে স্থির,কুমারী বাসরে।
সাজিয়ে রাখো  আঠারো,উনিশ সালগুলো সম্মানের হাতে,
বাজিয়ে দেখো,কাটারো রনিশ,জীবন স্বরলিপি সুখ প্রাতে।


রচনাকাল
২৭।০৫।২০১৪
ইউ এ ই।