পদধুলি দাও বাবা, মাগো, ছেড়ে যাচ্ছি তোমাদের ভিটে খানি,
তোমাদের ভালোবাসার ফসল রুপে এনে ছিলে একদিন আমার এই দেহ খানি।
বিদীর্ণ মন ফেটে খান খান ,নয়নের জলে বুক ভাসে,
জ্যৈষ্ঠের ঝড়ের মত উত্তাল কষ্ট শ্বাস ভীড় করলো এই মনের আকাশে।
আঁচল তলে ,ছায়ার মত ,রেখেছিলে মা কতো না  যতন করে,
বাবার আদর,ভালোবাসার ছোঁয়া,"আজ বিদায়ে"মন যে কেঁদে মরে।
ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়  ছিলো সুখের রঙ্গিন ঝংকার,
অবারিত ভালোবাসা ছেড়ে,চলে যেতে হচ্ছে
বাবা,মাগো ঝুঁটিবেঁধে অন্যের সংসার ।
চেনা সুখের কদর ছেড়ে,বন্ধনে বন্দি হলাম অচেনা সুখের বন্ধনে,
এই তো রীতি এই তো নীতি বিশ্ব ভুবন অঙ্গনে ।
মাগো বাবার প্রতি খেয়াল রেখো,মনের আঙ্গিনায়,
বাবা...মায়ের ও যে শেষ ঠিকানা তোমার বাগিচায়।
ছোট্ট ভাইটি'র খেয়াল রেখো,বড় চঞ্চল যে সে,
আমার জন্য কাঁদলে কভু,সান্ত্বনায় ভুলায় ও যে ।
জানি, আমায় ছাড়া খাবার তুলবে না মুখে,করবে কতো বাহানা,
ঐ ব্যথাতুর আঁখি কাঁদো-কাঁদো মুখখানি মুছে দিও ভুলায় ও যন্ত্রণা।
আজ বিদায়ের দিনে কেঁদো না মাগো,প্রেশার টা যদি যায় বেড়ে,
লুকিয়ে কেঁদেছো কত ছল ছল নয়নে,করুণ গীত ছেড়ে ।
চললাম মাগো তোমাদের ছেড়ে,বাবা দাও গো বিদায়,
তোমাদের মান তোমাদের সম্মান যেন রাখতে পারি এই আশীর্বাদ টুকু চাই ।


রচনাকাল
২৯।০৫।২০১৪                                              
ইউ এ ই।