অপরূপ রূপ একি স্বরুপ সে যে আমার দেশে'র খাঁটিমাটি,
একত্রিশ বছরে ও পাইনি খোঁজে তার ঐ এমন পরিপাটি ।
মাটিতে স্পর্শ  করি দেহের গন্ধ ভাসে, উর্বর দেশের ধূলি,
কত গায়ে মাখি, স্বপ্নের  সবুজ ছোঁয়া কি করে তাকে ভুলি।


যেন তপোবন পুণ্যচ্ছায়ারাশি ঘেরা,সেই অরণ্য,সেই নগর,
কাননে ফোটেছে ফুল রাশি রাশি,চামেলী জুঁই কামেনী টগর।
আন্দোলিত  করে প্রাণের শাখায়, নিত্য আত্নায় আলোচন,
প্রাণের প্রাচুর্যে ভরা গুনে সেরা,আমার মায়ের হৃদয়স্পন্দন।


কত ছদ্মবেশী সৈনিক,এসেছিলো মাগো তোমার সুবাস নিতে,
আমাদের করতো ছাড়খার সর্বগ্রাসী হননে,স্বপ্নের সন্ধানেতে।
স্বাধীনতা পেয়েছি তোমার বক্ষ টানে,শত্রুকে করেছি ছিন্নভিন্ন,
উচ্ছৃঙ্খল,দুর্বার শোষক করেছে পলায়ন বিদ্রোহী তুমি অনন্য।


যে মাটিতে  চাষী বুনছে শস্য, ধান, সেখানেই তাদের কবর,
অনুভব করি শিখা চিরন্তনী যৌবন ফুলেফলে মত্স সরোবর।
মমতায় তুমি,ঐতিহ্য সহ্যে'র পাটি,নিঃস্তব্ধতায় তোমার মন,
তোমার বুকে হাঁটি পুড়িয়ে ইট ভাটা খাঁটি,অভিযোগ নেই ক্ষণ।


ভৈরবী সুন্দরী পদ্মা ক্ষুধায় খেলে,উৎকণ্ঠায় অস্থির তোমার মন,
আমি আড়াল থেকে শুনি তোমার, ক্রন্দন বিলাপ করি সারাক্ষণ।
অতঃপর যখন দেখি ওপারে তুমি আবার উঠেছো ভেসে মোহনায়,
আনন্দে বুক ভাসে আঁখির নদীতে উল্লাসে কাঁপে মনের সীমানায় ।


হে বঙ্গমাতা বিদেশ বিভুঁয়ে উতপ্ত লাল বালিতে পরশ খুঁজি মনে
পাইনা খুঁজে তোমার গন্ধ সুবাস,ইট পাথরে ঘেরা ধনে'র ধরনীতে।
তোমার ভাষার পাইনা স্বাধ,পলিমাটি ঘেরা হরেক ভাষার সম্ভার,
সব'চে সুখ বাংলার  রূপ যেন এলোকেশী চুলে নারী দুরন্ত দুর্বার।


রচনাকাল
১০।০৬।২০১৪
ইউ এ ই ।