ডাক্তার চেম্বারে বসিয়া রহিয়াছেন ,
হাঁক ছাড়িয়া ডাকিয়া কহিলেনে,ওরে লালু নেক্সট -
তলতল ছলছল করিয়া নূপুর-রিনিকিঝিনি,শব্দে একাকিনী আসিছে ধীরালয়ে,
তা দেখিয়া ডাক্তার ভাবিয়া কূল পাইলেন না ইহা রোগিণী নাকি পরী
চিক চিকে গড়নে,টুকটুকে বরণে,দুটি কালো আঁখি যেন তাহার স্টেথেসকোপ।
আঁচলখানি মস্তক হইতে খসিয়া পড়িতেই,তাপ মাপার পারদ যন্ত্রখানি ভাঙ্গিয়া চুরমার,
নীলাম্বরী রমণী কে দেখিয়া তাহার হৃদয়নীরে যেন কম্প দিয়া উঠিলো ।
সোহাগ-তরঙ্গরাশি অঙ্গখানি বারংবার দেখিতে লাগিলেন,
যেন ভুলিতে বসিলেন তিনি সেই ডাক্তার যিনি সবার চিকিত্সা করিয়া চলিতেছেন,
রোগিণী'র বুলবুলি কলভাষে সম্ভিত হইয়া শুনিলেন তাহার কষ্ট ব্যাধি কথা,
ডাক্তার ভাবিতে লাগিলেন,এমন রূপের সাগরে ব্যাধি কি করিয়া বাসা বাঁধিতে পারে?
তবে  কি ব্যাধি ও তাহা'র রূপে মুগ্ধ হইয়া আসিয়া জাড়াইয়া ধরিলো ?
আজি বর্ষা গাঢ়তম নীরবে ভুঞ্জনে অন্তরের শিরা-উপশিরা অবলোকন করিলেন,
অঙ্গের সীমান্তে মৃণাল-পরশে কম্পিত চঞ্চল বক্ষ যেন ইন্দ্রিয়বন্ধ হইবে ক্ষণ।
বক্ষে সংগোপনে স্টেথেসকোপ রাখিয়া ঈষৎ হাসিয়া ডাক্তার কহিলেন,
"শ্বাস-প্রশ্বাস একটু ঘনাভিরাম হইবে ক্ষণ"
রমণী বাড়াইয়া দিলো লাউয়ের ডগার নাসরন্ধে বীণা'র সুর তুলিয়া,
ডাক্তার স্টেথেসকোপে'র করুণকোমল আভা নাড়াইয়া চাড়াইয়া বাসাইতে লাগিলেন,
মুগ্ধপ্রাণ নিঃশব্দ নিস্তব্ধ শান্ত সম্মুখে চাহিয়া সুধাপূর্ণ সুখে।
পুনরায় নূপুরে'র রিনিকিঝিনি শব্দে সম্ভিত হইয়া মৃদু হাসি ভাসাই উঠাইলেন,
হাত রাখিলেন,দুটি চক্ষু পল্লবপ্রচ্ছায়ায়,মৃদু ভাষে নিমীলিত নিরুপম আভায়।
ওষ্ঠাধরপুটে জিহবা দেখিবার ছলনায়,আলতো করিয়া ছুঁইয়ে দিলেন,
রমণী'র বক্ষ দুরুদুরু করিতে লাগিলো,পরশে'র ছোঁয়া নাকি ভয়ের জ্যোতিচিহ্ন
আঁকিয়াছে শরীরে'র পৃথিবী'তে আঁচ করতে পারিলেন না  ডাক্তার।
সৌন্দর্যের শরীরে'র উদগ্র মনোভাবে ফুলেল যূথীবনে,আবার ও মধুকর বুকে,
স্টেথেসকোপ রাখিবার ছলে আক্রমণ করিলো বক্ষে।
রমণী চমকিত হইয়া চেতনাবোধে আসিয়া হাত টা চালাইয়া দিলো কঠিন শব্দে,
পাঁচ আঙ্গুলের তীব্র তেজে ডাক্তারি'র মানচিত্র আঁকিয়া দিলো তাঁর গালে,পঞ্চরেখায়।


রচনাকাল
১৫।০৬।২০১৪
ইউ এ ই।