নক্ষত্রপুঞ্জের মৌনমেলা দেখে আজ মন টা বড্ড বিমুঢ়
ভোরের আলোয় দিনের চরিত্র বুঝা টা যাচ্ছে বৈকি,
রক্তাক্ত রক্তিম সূর্য তার আলো চড়াবে আঁকবাঁকা প্রবাস জীবনে।
ইশ!! সেই কি ভয়াবহ দুঃসহ গরমের য্ন্ত্রণা দেখি শ্রমিক মনে,
গতকালের আকাশে উনচল্লিশ তাপমাত্রায় বালি কাঁপিয়ে গেলো তপ্ত ক্ষরতায়।
উদগ্র লেলিহান আভায় খাঁ খাঁ করছে পবিত্র রমজানে প্রতি টা হীরের মুকুট,
আমি না হয় রাঙা হৃদয়ের বেহালার সুরে, সুর তুলি শীতল কক্ষে
কিন্তু যখন দেখি প্লাস্টিকে বাঁধা ভাত গিলছে তারা ঘামের জলে বক্ষে,
রামধনুকের গভীর চোখের তারায় তারায় যেন কয়েক ফোঁটা জল এসে
গড়িয়ে পরে ,ধন্যি ছেলেদের অধ্যবসায়!!
অফিস পথে দেখি রোজকার রুটিনে উনচল্লিশ-চল্লিশ তাপমাত্রায়
রাস্তায় সারা দিন ঠাঁই দাঁড়িয়ে আমন্ত্রণ জানায় গাড়ি মেরামতের তাগিদে,
"আসুন ভাই আসুন আমাদের এখানে ভালো মেরামত করে থাকি"
বেশ কয়েক জন বাংলাদেশী যুবক ।আহ!! সে কি উত্তপ্ত বিভিষিকা !!
একটু কাছ থেকে দেখলাম বাদামী রঙ এর চামড়া টা পুরে যেন কালচে
আকার ধারণ করছে,তোলপাড় করা একুশের বসন্ত ঋতু থুবড়ে গেছে।
আবার যখন দেখি মৃত্যু কে হাতে নিয়ে দেওয়াল বেয়ে শ' তালার
গায়ে আলপনা আঁকছে নিচ থেকে খুব ছোট মারবেল ই মনে হয় ,
তখন বুক টা ভয়ে কেঁপে উঠে বারংবার !! এ কেমন প্রবাস জীবন!!
এতো কষ্টের মাঝে ও যখন দেখছি মাইনে'টা ঠিক মত আসছে না
হিসেবে'র খাতায়, তখন মনে হয় যেন "ছেড়ে দে বাপ মরে বাঁচি"
অথচ বাড়িতে সবায় উন্মুখ হয়ে চেয়ে আছে কখন টাকা পাঠাবো?


রচনাকাল
০৩।০৭।২০১৪
ইউ এ ই ।