দুলু মিয়া কৃষক মাঠে লাঙ্গল জোঁয়াল নিয়ে
সারা  বেলা শ্রম করে বেচা-কেনা,
ভূমি খোঁড়ে আপন মনে ঝড়রোদে
মুক্তাবেণী পিঠে বউ গলায় রূপা'র গহনা।


এক বরষায় স্ত্রী'কে কথা  দিয়েছিলো,দুলু
গড়ে দিবে কানে'র সোনা জোড়া  দুল,
তিন'টি বছর গেলো কেটে এমনি করে
পারলো না খারাপ ফসলে,ফোটা'তে ফুল।


গেলো বছর তাঁদের ঘর আলো করে এলো
সুন্দর ফুটফুটে রূপবতী এক রাজকন্যা,
আনন্দ সাগরে ভেসেছিলো  দিবানিশি
বিজয়-কেতন নেড়ে ঘরময় জুড়ে খুশির বন্যা।


এই বার দুলু মিয়া ঠিক করেছে কষ্টের মাঝে ও
গড়ে দিবে সোনা জোড়া দুল স্ত্রী'র কানে,
ফসলের মাঠে ও এবার খুব ভালো লক্ষণ
ধানের ক্ষেতে'তে শীতল করে শীষে মনে প্রাণে।


কিন্তু মেঘলা দিনে ঘোমটা মেঘে আকাশ আঁধার
দুলু মিয়া চিন্তায় অস্থির মনের বসতবাড়ি,
এই বুঝি গগন ফেঁটে নামলো ঝড় তুফানে
সারা  মাঠে পরে  আছে পাকা ধানে'র ছড়াছড়ি।


আষাঢ়ের ঐ রজনীতে পূবে বাতাস এল হঠাত্‍‌ করে
গাছ-পালা নদী-নালা ঈশান কোণে ধেয়ে
মহাপ্রলয়ের  ভয়ঙ্করে  কাঁপছে ঘর-বাড়ি
ভাসছে  পাকা ধান, স্তব্দ দুলু  স্ত্রী কন্যা'কে হারিয়ে।


রচনাকাল
১০।০৭।২০১৪
ইউ এ ই ।