আমি তীর হারা ভেঙ্গে'ছে শিরদাঁড়া একি রূপ দেখেছি হায়
আসমান ফেটে'ছে কান্না'র শব্দে কালো মেঘে বাংলা'র গায়।
যে বাংলা'র সুজলা,সুফলা ফুলে'র মেলা শান্তিপুরে'র হাট,
আজ অস্থিরতায় কাঁদছে দেশবাসী ভাসছে মনিরামপুর ঘাট।


জাত বিভেদ ছিলো না কভু বাংলা'র সংসারে ছিল জয়ধ্বনি,
পাক-বাহিনী কে পরাস্ত করেছি দ্বন্দ্বরণে বাংলা ফিরিয়ে আনি।
বিজয় উল্লাসে যখন মেতেছিলাম আমরা নতুন সুখের পলে,
কিছু লোক  ছিলো লুটতরাজে  ব্যস্ত মিশে'ছে  ছলনার ছলে।


মুখে মিঠা তাদের অন্তরে বিষ ঊষা,সন্ধ্যা,দুপুরে'র ঘরে ত্রাস,
সুযোগে পেয়ে'ছে লুটে নিয়ে'ছে বাংলার ধন শূণ্য ভিটার ঘাস।
ভুঁড়ি করে'ছে মোটা  লুট করা ধনে, সংকটে শঙ্খিত জনগণ,
আজো থামেনি সেই বীরাঙ্গনা'দের কষ্টের দিন বুকফাঁটা ক্রন্দন।


নববধু এসেছিলো মেহেদী রঙ্গ সেজে সুখে সাজাবে রঙ্গিন বাসর
পাঁচ জন অচেনা লোক এসে তুলে নিয়ে ভোগ করেছে রাত ভর।
তমাল গাছে বাঁধা উলঙ্গ দেহখানি বধু'র শ্বাসপ্রশ্বাস হীন দেহকাঠি,
জোড়া কাটা স্তন বেয়ে পড়ছে রক্তের লালা,এ কেমন বাংলা মাটি !


বিজয় এনেছি ভরা সমুদ্র রক্তবানে দেশ আসলে কি আদৌ স্বাধীন ?
তবে কেন আজ হাহাকারে কাঁদছে বঙ্গ ভূমি মানবতা যে পরাধীন!!


রচনাকাল
১৭।০৭।২০১৪
ইউ এ ই।