আমি তাহারি মুখায়ব দেখিয়া মরুভূমির খরা বালুচর অনুভব করিলাম
কি সতেজ মায়াবী মুখে একি আবরণ!! আমায় ব্যাথিত করিলো-
উনুনের তাপে দগ্ধ তাহার বাহারি ত্বক যেন খসিয়া পড়িতেছে,
আমি স্তব্ধ, নয়নে তাকাইয়া রইলাম !!
তৈলের কড়াইয়ে শুভ্র ধোঁয়া উড়িতেছে সু-স্বাদু খাবারের সুবাস অপেক্ষা
আমার প্রেয়সীর আঁখিদ্বয়ে ঝর্নার জল  আমায় ভাবিতে বাধ্য করিলো ।
সিলিন্ডারে গ্যাস সংকটে প্রিয়তমার দুঃচিন্তার কারণ,
ভেজা লাকড়ি আর জ্বলতে চায় না এই বরষের অত্যাচারে !!
আমায় দেখিয়া সোহাগিনী ম্লান মধুর মিষ্টি হাসিলো,
সান্ত্বনার গদ্য আমায় বুঝাইবার তরে ।
আঁখিযুগল তাহার লালাভো হইয়া গিয়াছে ,
আঁচল দিয়া মুছিয়া লইলো তাহারি ময়ূখ মুখায়ব !!
আমি চকিত নয়নে তাহারে অবলোকন করিলাম-আলতো ছোঁয়া  
তাহার কোমল গালে রাখিয়া কহিলাম -
বাবু উঠিয়া কাঁদিতেছে -তাহাকে তুষ্ট কর-
আমি তোমার রান্নার স্বরলিপি কে তেলে বাজিয়া লইতেছি-
বধূ আমারি মুখে পলক রাখিয়া বুঝিলো যেন আমার ধুরন্ধতার প্রকাশ,  
মৃদু হাসিয়া আমারি মাথার চুল গুলো এলোমেলো করিয়া দিয়া কহিলো
আমি বুঝিয়া লইয়াছি তোমার ভালোবাসা ওহে প্রিয় !!
আঁচলখানি কাঁধে তুলিতে গিয়া আমার নাসারন্ধ্রের উপর দিয়া উড়িয়া গেলো-
আমি মুগ্ধ হইলাম তাহারি এলোকেশে চুলের গন্ধ জড়ানো সুবাসে -
এই বুঝি কোন কবিতার কাব্যের উপমার উপকরণ!!


রচনাকাল
০৩।০৮।২০১৪
ইউ এ ই ।