পূজায় যাবে আমার অর্ঘ্য সোনা
    তার মনে কত বাহানা,
    এদিক ওদিক সেদিক
তাকায় যেন শূন্যাতায়  ঠিকানা ।


নতুন লাল জামাটা পড়লো গায়ে
    তবু খুশির নেই রেশ,
    ক্ষণে ক্ষণে কেঁদে উঠে
মনের দরজায় যেন হাহাকার বেশ।


রুম্পা খুশি মনে হাতে পুতুল দিলো
      আদর মমতা দিয়ে,
      মায়ের মুখে অবাক
তাকায়, যেন খুব কষ্ট যাচ্ছে ধেয়ে।


লাল জামাটি বদল করে পাঞ্জাবীটা
      পড়ালো তার গায়,
      মুচকি হাসি হেসে
দিলো নিমিষে পরান যায় জুড়ায়।


এত হাসির ভীড়ে যেন অবুঝ মনে
       সে কাউকে চায়,
       কোমল মুখে ছবি
দেখে, যেন সে  বারতা বলে যায়।


প্রিয়তমা মুঠোফোনে সংযোগ দিল
       আমি তারে শুধায়,
        অর্ঘ্য বলে ডাক
দিতেই খুশিতে আত্নহারা হয়ে যায়।


অ-আহ  বলে কি যেন বলে গেলো
        মনে খুশির স্বরে,
         আমি স্তব্ধ হয়ে
কেবল শুনি সংযোগ টা কানে ধরে।


রচনাকাল
২।১০।২০১৪
ইউ এ ই।


বিঃদ্রঃ-(জীবনবোধে শিশুতোষ ছড়া) আমার অর্ঘ্য সোনার পূজায় যাবার ছবি টা আমার প্রোফাইলে দেওয়া আছে ।