যে হাসিতে গাঙের কলকলানি আজ সে হাসিতে তলানী,
কাঁদা জমে উঠে গেছে রঙিন পুতুলের রূপ যেন জ্বালানী।
বিষাদে কাঁদে মনে আবেগের ভুলে বিশ্বাসী কাছের মন,
কথার ফাঁদে  ফেলে পরশে কোলে তুলে নারীত্ব হরণ ।


চাঁদরে ঢাকা অঙ্গদে ফাঁকা,তুলে নিলো এক এক বাঁকল,
নেশার পানি নিপার জোয়ানী হরে নিলো প্রেমিক সকল।
নির্জন ঘরে চম্পকবনে নিপা কেঁদে কেঁদে স্রোতে ভাসে,
ভিডিও টা করলো ধারণ প্রেমিকের বন্ধু  ছৌ-নাচ রাশে।


আজ প্রেমিক পেতেছে ফাঁদ সারা দিন রাত নাচের পুতুল,
যখনি মন চায় নিপা যেতে বাধ্য হয় মশাল কষ্টের অতুল।
মাস কেটে বছর গেলো প্রেমিক বন্ধুর মনে তেজি আকাঙ্খা
ধরেছে বায়না বন্ধুত্ত্বের আয়না করতে চায় ভোগে প্রিয়াংকা।


বন্ধু বুদ্ধির জাল পেলে নিপা প্রেমিকের ঘরে এলে রঙ্গে বিভল,
বন্ধু জোড় করে ভোগ করে, কষ্টে বুক ছিঁড়ে, সব স্বপ্ন অতল।
প্রেমিক ফোনের রিং বাজে কষ্টের নীলসাজে কেটে যায় বেলা,
নিপা যন্ত্রণায় বিধুর সলিল সমাধি চায় হারাতে জীবনের খেলা।


পাড়ায় রটে গেলো,নিপা যখন খবর পেলো ভেঙ্গে দিশেহারা,
পাড়ার সকল দুষ্ট ছেলেরা হেসে গীত গায় অশ্লীল মাতোয়ারা।
দুর্দাম দাহে জ্বলে গেলো বাবা নিপার শিহরিত ভিডিও ফুটেজ,
প্রাণ বায়ু উড়ে গেলো,কঠিন আঘাতে কুসুমকাননে মরু তেজ।


প্রেমে পড় মন যখন তখন সতেজ থাকো জীবনে সুখের পরশে,
করোনা ভুল ফোটা ঝরা ফুল আবেগের রসে কাঁদবে কষ্টতরশে।
আলাপে প্রলাপে হাসি-উচ্ছ্বাসে খুঁজে নাও প্রেমিকের নিঁখুদ মন,
সময়ের কাজ অসময়ে কেনো?বুঝলে জীবনে আসবে সুখের ক্ষণ।


রচনাকাল
০৪।১১।২০১৪
ইউ এ ই ।


বিঃদ্রঃ-কবিতাটি অনেক বড় বলে দয়া করে কেউ আঁতকে উঠবেন না।অনুরোধ থাকলো আমার সকল শ্রদ্ধাভাজন কবিবন্ধু এবং সম্মানীত পাঠক বন্ধুদের প্রতি আপনারা কবিতাটি পুরো পড়ে তারপর ঘঠন মূলক মন্তব্যে আসার জন্য।এটি একটি আমাদের সমাজের বাস্তব উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত।এর থেকে পরিত্রাণ আমরা কি করে পেতে পারি ? ভালো থাকুন সবায় ধন্যবাদ।