লাজময়ি মুখে  চোখের  পলক ঠোঁটে তার হাসির ঝলক
স্বচ্ছ আয়নার মত দেখি নিজেকে তার অধরের আলোয়,
যে চাউনিতে মৃদু হাসে আঁধার আলোয় ঝরে মুক্তা রাশে
আকাশতলে ঝলক জ্বলে,সুখের পলে গভীর ভালোবাসায়।


জাম কালো চুলে উড়ে উড়ে দোলে,মায়াবী ঐ আঁখি তলে
আলোর ঝরণায় রঙিন স্রোতে,অঙ্গ'দে ভরা রূপের পরতে,
ঐ অন্তর্যামী শিল্পীর কারুকাজ,অতি নিখুঁত বুনট তরুরাজ
স্বপ্নে আঁকা শিশিরের শব্দের মত তাকে দেখলাম ঐ শরতে।


কোন এক ঘুম ভাঙানো পাখির ডাকে,দেখলাম চলার বাঁকে
আঁচলখানি উড়ছে হিমেল হাওয়ায়, আনজান মন দোলনায়,
দোলা  দিলো  সন্ধ্যা ক্ষণে  শ্বাস -নিঃশ্বাস অশান্ত প্রতি রণে
ভরসাভরা প্রাণ আনন্দময় গান,তার যৌবন মধুর মোহনায়।


আমি  দেখেছি  শিল্পীর স্বরলিপির কারুকার্য সুর অনিবার্য
রূপের পরতে পরতে ঢেউ  খেলে যায় নবীন আলোয় মুখ,
আসন পেতেছে ছোট্ট তিলটি তার কোমল গালে মায়াময়ী
যেন ঐ আঁধারের বিশাল আকাশে এক টুকরো চাঁদের সুখ।


যে দিকে তাকায় ভূবন মাঝে মুখ ভাসে তার সদা অঙ্গরাজে
ভোরের কোণে কিরণ লাজুক হাসে,মনমানবী শীতল অমুল,
আমি যেথা খুঁজি সদা সুখের খনি,ভেসে উঠে তার চক্ষু মনি
তৃষ্ণাভরা এই গভীর প্রতুল সে যে আমার প্রিয়া রুম্পা শিমুল।


রচনাকাল
১৪।১১।২০১৪
ইউ এ ই ।