যে বাংলায় জন্ম আমার আছি যেন মায়ের বক্ষে,
এই দেশ ঘুরি ঐ দেশ  ঘুরি দেখিনা এমন চক্ষে।  
ভোরের আকাশে শুভ্র কুয়াশা প্রভাত রবির আলো,
চাষির হাতে লাঙল জোয়াল শীতেলা চম্পা মালো।


সেই বাংলায় বোয়ালিয়া গ্রামে সেকি রূপের বাহার,
শৈশব কেটেছে হৈ হুলুরে  দুষ্টামী,অপরূপ সমহার।
ডাঙগুলি আর হা ডু ডু খেলায় কেটে গেছে কৈশোর  
শুভ্র যৌবন যখন ঘিরে ধরেছে ধীরে ধীরে পরিসর।  

পায়ের নিচের মাটি শক্ত করতে ছুটে গেলাম চাটগাঁ
বছর কয়েক কাটিয়ে দিলাম নীল ছায়া বাংলা বনগাঁ।
স্বপ্ন দেখি আমি কোমল মনে যেন নবীন তৃণের ছায়া,
আশ-পড়শী সকল ছেড়ে প্রবাসে খুঁজি বৃন্দাবনের মায়া।


আমি পাই না খুঁজে মনের শান্তি ভোরের দোয়েল পাখি,
জাড়ালো প্রাণ মনের কোণে রুম্পার রঙ ধনুতে আঁকি ।
আজি প্রবাস পাড়ে কাটায় বেলা জীবনের একি খেলা,
আসছি ফিরে বাংলার বুকে যেথায় নক্সী কাঁথার মেলা।


সর্ব সুখ যেন পড়ে আছে ভূবন বাংলার নান্দনিক ছবি,
বাংলা মোদের গর্ব ওরে লিখে গেছেন  কত শত কবি।  
যে বাংলার আকাশ বাতাশ গন্ধে মেখে অর্ঘ্য এলো ফিরে,
বিশ্বাস সে তো মনে জোড়ে সে বিশ্ব রাঙাবে ভুবন তীরে।


রচনাকাল
১৫।১১।২০১৪
ইউ এ ই ।