কিসের অহং তোর কিসের বাহাদুরি?
অন্যের ধনে ধনবান,তুই করেছিস চুরি।
চাঁদ ধার করে রবি থেকে আলো,
লোকে তোকে জানে তুই কত ভালো!!
              যে দিন তুই নেতা হলি,
              কাননে আসে না কলি,
ফোটে না ফুল সমাজ সংসারে
অন্যায় করে গেলি কত মেয়ের অভিসারে।


আমি স্তব্ধ হয়ে ভাবি কি নিখুঁত তোর ছবি
যে ছবিতে প্রভাত রবি এঁকেছেন কবি,
যখন ছিলো ছোটবেলা বুঝিনি তোর খেলা
কেড়ে নিলি জমি জমা,দিস নি দাঁড়ি,কমা।


যে শিশুমুখে প্রথম হাসি তোর ভয়ে শুধু কাঁশি,
তবে বদলেছে মন,এখন সেই ক্ষণ,অভয় রাশি।
আজ সর্বাঙ্গে সুবর্ণসুধা,নবীন রবির আলোর ক্ষুধা,
                          তৃষা মনে লড়বো ক্ষণে
                          যা নিয়েছিস অকারণে।
আজ সাহসের তলোয়ার,গাঁথবো তোকে বারবার
যা নিয়েছিস তুই,জুঁই চামেলী খুই,জীবন পারাবার।
ঝোপেঝাপের কত ভয় দেখিয়েছিস অভিরয়,
তোর জীবন তো ছিলো না ছিলো শুধু অভিনয়।
                        রাস্তার গলি পরে রইবে খুলি,
                       নিবে না তোর খবর দিতে কবর।
                     সময়ের প্রয়োজনে কত আয়োজনে
                       ঠকিয়েছিস শত একদিন হবি গত।
পড়ে রবে লাশ র্দুগন্ধ বাতাস  
বেঁচে থাকতে ছড়াসনি এতটুকু সুবাস,
মরনের পরে ও শান্তি দিবি না কবরে বাস!!


হাসরের ময়দানে অপরাধের অভিধানে
              উঠবে হেসে,তোর নাম ভেসে,
হাসবেন যমরাজ কত করেছিস কু'কাজ
হিসেব মিলিয়ে নিবেন মাথামুন্ডের কারুকাজ।
                      আমি তোকে বলি হে
                 সময় আছে এখন ও স্বজ্ঞানে মন দে।
যে প্রভাতে ফোটবে ফুল,বুঝবি সকল ভুল
ন্যায়ের কারাগারে,ছুটে যা নতশিরে,
আশ্বাস নয় বিশ্বাস পেয়ে  যাবি ঐ নদীর কূল
প্রায়শ্চিত্ত করে যা জীবনের যত পাপ করেছিস ভুল।


রচনাকাল
২৬।১১।২০১৪
ইউ এ ই ।