চঞ্চল মনে ভাবি অকারণে,ঘুরে ফিরি পথ-ঘাট,
জীবনের গানে বেয়ে যাই পাল,দেশ বিদেশের মাঠ।
চলার সংকট ক্ষণে,বসি নিরালায় মনে,উড়াতে হবে পাল,
সঞ্চিত ব্যাথা,মনে কত কথা, চেপে রেখেছি কত কাল।


বুকে পুঞ্জিত অভিমান,হবে অবসান,মনে আছে হিম্মৎ,
শ্রমের বাজারে আমি পুজারী,গড়বো উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
যাত্রা শুরু,উষায় উদিত তরু, সারা দিনের পরিশ্রম,
খাটি অক্লান্ত ঘামে,স্রষ্টার নামে,দিন শেষে ফিরি আশ্রম।


নক্ষত্রের কিরণনিবাসে,ভিজে যাই ভেসে,সারাক্ষণ,
উত্তাপ হাওয়া,গরমের ধাওয়া,পুড়ে পুড়ে যাই দেহ-মন।
চাঁদনী রাতে,জোছনার সাথে,একা কেটেছে কত রাত,
গুনেছি তারা,মন যে পাগলপারা,শুরু আরেকটি প্রভাত।


জীবনের স্বরলিপি,লিখেছেন বিধিলিপি,সময়ে অভিনয়,
ফিরে গেলাম দেশে,নীলাকাশ ঘেঁসে হল,শুভ পরিণয়।
বধুয়া সেজেছে ঘরে,আমার মনের চরে,খুশির আঙ্গিনায়,
ফুটেছে ফুল,সংসার অনুকূল,ভেসে যাচ্ছি সুখের মোহনায়।


যতটুকু বর্তমান,সব বিধাতার দান,তাঁরি চরণে রাখি ফুল,
আজি প্রবাসের ঘরে,বিশ্ব চরাচরে,মন টা যে বড় আকুল।
মাঝে মাঝে ভাবি,ছেড়ে যাই সবি,পুত্র স্নেহের লোভে,
সমাধান খুঁজি আমার শ্রমে বুঝি,সংসার চেয়ে আছে তবে!


মনে কষ্ট আঁকি,পরিজনের মুখে হাসি দেয় উঁকি,আর কি চাই?
হৃদয় আমার আকাশে উড়ে তাঁদের খুশিতে ভুঁয়ে,মন ছুঁয়ে যাই।


রচনাকাল
২৬।১২।২০১৪
ইউ এ ই ।