নম্রতা এক বসে ঘরে,কেবল চটপট করে,
মনে তার বিষাদ মাখা কষ্টের গভীর যন্ত্রণা,
সেই  শৈশব থেকে একাকিত্ব ঘিরে ধরেছে
পায়না খুঁজে কোথাও মনের মাঝে শান্তনা।


বাবা সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন ব্যাবসার কাজে
মা থাকেন মিটিং ফিটিং মানবাধিকার নিয়ে,
নম্রতা বেড়ে উঠছে কাজের বুয়ার হাত ধরে
মনের মাঝে,অত দুঃখ  বলবে কাকে গিয়ে।


নম্রতা ছায়াহীন পানপাতার মত জীবন যেন
ধনসম্পদে ভরা,তবু হৃদয় ভূমিতে  শুন্যতা,
কিশোরী  নম্রতার  আর কি  বা করার আছে
যখন দেখে বাবা-মায়ের ঝগড়া আর শত্রুতা।


তাঁদের ঝগড়ার কবলে পড়ে উদাস হয়ে ভাবে
রঙিন মেঘের দুনিয়ায় এক টুকরো কালো মেঘ,
মন টা তার আজ ভারী নাজুক,পুকুর ঘাটে বসে
নীল আকাশের দিকে চেয়ে খুঁজছে সুখের বেগ।


কোন এক গভীর রাতে নম্রতা ঘরে নেই দেখে
কাজের বুয়া চিত্কার করে, উঠালো তীব্র ঝড়,
সারারাত ধরে খুঁজে ফিরেছে সবায় অস্থির হয়ে
সারা বাড়ি সারা মহল্লা সব আত্নীয় স্বজনের ঘর।


শীতের সূর্য পুবে উঠলে,নম্রতার চৈতন্য আসে
সে স্যাঁতসেঁতে ভিজে খড়ের টালে পড়ে আছে,
উদাস মনে সুবাসিত করে বাবা-মায়ের পরশ,
দূরে রেখো না সুবোধ মনে,পাশে থেকো কাছে।


রচনাকাল
১১।০১।২০১৫
ইউ এ ই ।