দাদি এসে খবর দিলো,নাতনী ওরে যমুনা ,
তোর বিয়ের ফুল ফোটেছে,লাজে মরে ললনা।
কদম পুরের রাজত্ত্ব তাঁর পাইক পেয়াদা ভুরি,
সুখের সমুদ্রে নৌকা ভাসাবি,সাজাবি জীবন তরী ।
দাদির কথা শুনে যমুনা হরিণ-চোখ তাকিয়ে রয়,
ঈশান কোণে মেঘ জমেছে, শ্রাবণ ঝরে বয়।
পঞ্চাশ বছরের বুড়ো নাকি,হবে তার বর,
হঠাত্‍‌ ধেয়ে যায় মন সীমান্তে বজ্র থরথর ।
কোমল মনে কালো মেঘ জমেছে ,আশার তমাল-বনে,
খুশির রজনীতে শ্রাবণ ঝরছে,আঁধার ঢাকছে মনে।
মনে বড় সাধ ছিলো,নৌজোয়ান বর নিয়ে সাজাবে রঙ্গিন দুনিয়া,
মামা,মামী টাকার লোভে বুড়োর গৃহমাঝে সাজাতে দিচ্ছে অবতরনিয়া।
ঢের সম্পদ আর ঐশ্বর্য নাকি  লিখে দিবেন যমুনার নামে,
বুড়ো যখন গত হবেন,স্রস্টার দেয়া তৃষ্ণার্ত যৌবন তার,
বেল পাতা খাবে কোন বনে ?


রচনাকাল
০৯।০৬।২০১৫
ইউ এ ই