আমি বেদনা অশ্রুজল এক পাখি,
এলোমেলো ছোটাছুটি করে খুঁজে দেখি
কোন দূর নিহারিকায় তোমার কুঠির।


আমি কুমারের চাকতি ঘোরানো মাটি
পুড়ে পুড়ে হয়েছি লাল,
আমি অসাময়িক বেদনায় জরা-জীর্ণ,
দুনিয়ার জঞ্জাল।
আমি হিম হিমালয়ের এক খন্ড তুষার-
যার কিনা বাতাসের স্পর্শে অশ্রু ঝরে।
আমি বেদনার জীর্ণ তায় না-বলা কথার হাত ধরে
পৌঁছে গেছি অমাবস্যার বিষাদক্ষয় রূপের ডালি নিয়ে-
যার জন্ম থেকে পোড়া কপাল।


আমি গীতি কবিতার অগুচিত না বলা সেই কথা,
যা কিনা অযাচিত কাগজের পাতায় লেগে থেকেই ,
ঘরের কোণের ঝুঁরিতে পড়ে পড়েই করবে নিজের আত্মত্যাগ।
অদূর সময়েও যা হবেনা ছাপা অক্ষরে প্রকাশ।
পাবেনা কোন গীতি কবিতা বা কাব্য গ্রন্থে ঠাই,
পারবে না কোন পাঠকের মনে কেটে যেতে দাগ।


বন্দী খাঁচায় ঠুকরে ঠুকরে চলা ময়নার মত,
হয়তো আমি কখনোই ছাড়া পাব না,
তোমার ভালবাসার তপ্ত প্রদাহ সাকার বাণী হতে,
পাড়বো না আবার উড়তে ডানা মেলে,
এই নীলিম আকাশের বুকে।


শুধু থেকে যাবে লেখকের অগুচিত কথার মত,
বা বন্দী খাঁচার ময়নার মুক্তির আকাঙ্ক্ষার মত,
তোমায় না বলা ভালবাসার আক্ষেপ।


তাং- ২৯/০২/২০২০ ইং
মৌলভীবাজার, সিলেট।