আমাদের প্রথম স্পর্শ, আর প্রথম হাতে হাত রাখা;
সে দিন শ্রাবণের হিম শীতল সন্ধ্যারতিতে,
আমি অপেক্ষারত ছিলাম তোমার বাসার গেঁটে।
এক তিক্ত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে,
তুমি এসেছিলে ষষ্ঠ প্রহরের শেষ হবে হবে করে।


খুলা চুলে, সাদা আর সবুজের কারু কাজে ললিত জামায়,
ভারী মিষ্টি দেখাচ্ছিল তোমায়।
উড়নাটা ছিলো তোমার মাথার এক তিত্বীয়াংশ জুড়ে।
শঙ্কা মনে ভীত ভীত চেহারায়,
তোমার হালকা হাসিটা ছিলো যেন জোছনাক্ত বর্ষণ।
সেই বর্ষণগন ক্ষণে, আমি ভ্রান্ত হই তোমার রূপের করাতে।


জানিনা কেনো এমন হচ্ছিলো আমার?
যেন সব ব্রীড়া ভুলে আমি হয়ে পরি ঔৎসুক্য-
মনের সব জড়তা গুটিয়ে আমি চাইলাম তোমার হাতটি।
আর তুমি হীনতা গুটিয়ে, কিছুটা কণ্ঠা মনে বাড়িয়ে দিলে তোমার হাত।
যা ছিলো আমাদের তিন বছর সম্পর্কের পর,
প্রথম স্পর্শ, আর প্রথম হাতে হাত রাখা।


তোমার হাতে হাত রেখেই যেন পেলাম এক অনাবিল উদ্ভেদ।
আমি উপলব্ধি করি আমাদের ভালবাসার গভীরতা।
তবে অলক্ষেই যেন হারিয়ে গেল শিহরণ জাগা অনুভূতি গুলো।
ভয় ভীতি আর শঙ্কা যেন আকরে ধরলো বুকের পাঁজর।
মুহূর্তেই আমি উপলব্ধি করি তোমায় হারানোর ভয়।
অগোচরেই চোখের কোণ বেয়ে ঝড়ে পড়লো কয়েক ফুটা জল।


তাং-  ২১/০৩/২০২০ ইং
জৈন্তাপুর, সিলেট।