মেয়ে আমি অবাক হই, তোমার পানে চেয়ে-
নেশাদায়ক মন কাড়ানো তোমার রূপের করাতে,
যেন মায়ার অতল সমুদ্রতটে করেছে নিজের আত্মপ্রকাশ।
জানিনা সেজেছো কোন রূপে,
পারুল, জবা, বকুল, হাসনাহেনা নাকি অন্য কোন এক অজানা রূপে।


মেয়ে আমি অবাক হই, তোমার পানে চেয়ে-
তোমার পরিচ্ছেদিত বস্ত্রের দিকে চেয়ে
বোরকা আর হিজাবের মধ্য হতে মায়া ভরা তোমার মুখ খানি দেখে।


মেয়ে আমি অবাক হই, তোমার পানে চেয়ে-
হিজাবের মধ্য হতে হেড লাইটের মত বেশে আসা তোমার কাজল কালো চোখের ড্যাব ড্যাব করা চাহনিতে।
যেন হারিয়ে যাই আমি কোন ভিনদেশী শূন্যতায়,
হারিয়ে যাই কোন এক অজানা অগণন কুসুমের দেশে।


মেয়ে আমি অবাক হই, তোমার পানে চেয়ে-
তোমার সুমিষ্ট কোলাহিত কণ্ঠধ্বনি শুনে,
অবাক হই তোমার সাবলীল বাক বঙ্গীমার সরলতা দেখে,
আমি অবাক হই, তোমার বিচক্ষণতা পূর্ণ প্রদক্ষেপনিতে।


মেয়ে আমি অবাক হই, তোমার পানে চেয়ে-
খুব সহজেই যেন মিশে গেছো এই আমার আমিতে।
ভাবনার শরীর ঘেঁসে যেন আজ তোমারই বসবাস,
হয়তো তুমিই আমার বিবর্ণতাময় মনের ক্যানভাসে, এঁকে যাওয়া রঙ তুলির আঁচর।