জীবনের কোন এক প্রান্তে এসে,  
কোনো এক ভোরবেলা, রাত্রি শেষে শুভ শুক্রবারে  
যদি ফুরিয়ে যায় সব লেনাদেনা, মিটে যায় সব চাওয়া-পাওয়া
মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে যদি দেয় যাওয়ার তাকিদ;  
অপ্রস্তুত এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারে  
ভালোমন্দ যা ঘটুক মেনে নেবো এ আমার ঈদ।  
তবে সেদিন মৃত্যুর ফেরেস্তার আচরণ হবে কেমন?
তাই ভেবে বিষন্ন এ মন, আমি কি করেছি সেরূপ আমল?
নাকি আমার ইমান এখনো হয়নি সহি শুদ্ধ -
এসব ভাবতে ভাবতে এখন ক্লান্ত প্রায়।
কি হবে এত তরি গড়ি করে, বর্তমান - ভবিষ্যতের চিন্তায় মেতে?
যতি সত্যিই চলে আসে যাওয়ার তাকিদ-
ফেলে যেতে হবে খড়কুটো, পরিধেয়, আহার, মৈথুন–  
নিরুপায় কিছু নাম, কিছু স্মৃতি কিংবা কিছু নয়;  
অশ্রুভারাক্রান্ত চোখে জমে আছে শোকেরলেগুন  
কার হাত ভাঙে চুড়ি? কার বা নোলক হারাবে চিরতরে-
কে বা হুর মুড়িয়ে ফোঁপাবে?
স্মৃতির মেঘলা ভোরে শেষ ডাক ডাকছে ডাকুক  
অদৃশ্য আত্মার তরী কোন ঘাটে ভিড়ল কোথায়?  
কেন দোলে হৃদপিণ্ড আজ, আমার কি ভয়ের অসুখ?  
নাকি সেই শিহরণ পুলকিত মাস্তুল দোলায়!  
আমার যাওয়ার কালে খোলা থাক জানালা দুয়ার  
যদি হয় ভোরবেলা স্বপ্নাচ্ছন্ন শুভ শুক্রবার।
তবে এতটুকুই চাওয়া, যেন হয় সে ক্ষন সিজদারত অবস্থায়।