আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে,
আসে বৃষ্টির সুবাস যেনু বাতাসে বহে-
আকাশ কালো করা, আষাঢ়ের কালো ঘন মেঘ
অলক্ষেই যেনু টুপ-টাপ শাঁই শাঁই করে,
লুটায়াছে মোর আদ ভাঙ্গা চালে।


দক্ষিণের ঝড়ো হাওয়া এই বুঝি উড়ায়ে নিল মোর আদ ভাঙ্গা চালের টিন।
ঘরের একোণে-ওকোণে দেখি টুপ টুপ করে পড়ছে ফোটা ফোটা বৃষ্টির জল,
আমি সেথা পাতিয়াছি হাড়ি।
নিমিষেই দেখি হাড়ি হইতে গড়ায়ে পানি,
হয়েছে মোর ঘরের মেজেতে বিলীন।


আষাঢ়ের এই সারা দিনমান বৃষ্টিতে,
মাঠ-ঘাট, রাস্তা আর বসতের বাড়ি পানিতে হয়েছে টইটম্বুর।
বাড়ির উঠোনে মোর থইথই বহিয়াছে আষাঢ়ের প্লাবন।
নেহাত মোর বাড়ি ছিনু একটু উচুতে,
তাইতো এখনো তলায়নি পুরো।
এখনো যেনু বাসছে মোর আদ ভাঙ্গা ঘর বাসমান বাড়ি হয়ে।


তাল গাছ ন্যায় যেনু এক পায়ে দাড়িয়ে,
আছে মোর বাড়ির কোণের কদমের গাছ।
যেথা হতে ছড়ায়েছে আষাঢ়ের বৃষ্টিতে স্নিগ্ধ,
হলদে সাদায় ললিত কদম ফুলের সুবাস।
বাতাবি লেবুর সুবাস ও আজ যেনু লাগছে বড়ই মধুর।


যখনি বৃষ্টি নামে, শব্দেরা যেনু জাগিয়া উঠে টুপ-টাপ;
যেনু কাশবনে বয়ে যায় উদাসী বাতাস,
হুড়ুম দুড়ুম মেঘ গর্‌জায় বিজলী চমকায়।
আদাঁর কালো করি চারিপাশে হারিয়ে গেছে যেনু দিনের আলো।
আজ যেনু আষাঢ়ের বৃষ্টিতে সূর্যটা লুকোচুরি খেলে।


চারিদিকে বইছে যেনু থমথমে আবাস,
দমকা বাতাসে দেখেছিনু দুটি বক থেমেছিল চুপ-চাপ;
কাক ভিজে আমার অাঙ্গিনায় এলো-
এমন বাহারি হয়ে যেনু আষাঢ়ের রূপ
সারাদিন বৃষ্টিটা ঝরে অবিরাম টুপ-টাপ সুরের ব্যঞ্জনায়।