কবি বন্ধুরা তত্ত্বই বলো, ধারণা অথবা মতবাদ,
আমার কাছে আছে কবি হয়ে যাওয়ার একটি থিওরী;
এবং আমার এ থিওরীটি আমি খুব বিশ্বাস করি;
আমার অকবি'র আকাশে এটি এক ধূসর হতাশার ঘুড়ি;


আমার থিওরীর একাংশ আমি বাতাসে খুঁজে পাইনি;
বহু বড় লেখকের জীবনীগ্রন্থ পড়ে, তবেই জানতে পেরেছি ;
বলে নিলাম আগেই, যাতে না বলতে পারো আমাকে “ধুত্তরি”;


তাহলে শুরু করি;


কোনো জাতীয় দৈনিকের জাঁদরেল সম্পাদকের জুতো
অথবা তার পাঞ্জাবীর খুটো
ধরে তুমি যদি হতে পারো সাচ্চা তোষামোদকারী;
তার টেবিলে চা কাপের চাপরাশির মতো হয়ে,
যদি তুমি হতে পারো যথাযোগ্য তেল মালিশকারী,
তৎসঙ্গে টুকটাক ফরমাশ পালনকারী;
ব্যস! কর্ম সারা তবে! তাহলেই তুমি নির্ঘাত হবে,
সম্পাদক মহোদয়ের কৃপাধারী,
এবং হলেই হয়ে যাবে তুমি "কবি";


মিডিয়া যুগের আগে, হয়তো আরো আগে,
ভেবে দেখো তো ভালো করে
কোথায় সব কবিরা জীবিকার তরে,_ কাজ করতো;
কোথায় তারা ধর্ণার ঝর্ণা বইয়ে দিতো,_ রাতদিন;
একবার একখানা ছাপাতে পারলেই, ওরে বাবা! জগৎ হতো বিদীর্ণ!
“হে! হে! বলেছিলুম না আমি কবি, দ্যাখ! দ্যাখ! ভালো করে দ্যাখ”;


অগুণিত বাঙালী তথা আমজনতা কাঁদে,
জীবন সংগ্রামে নীপিড়নে পদে পদে,_ ওষ্ঠাগত যাদের প্রাণ;
তারা কি করে কবিতার কোনো তোয়াক্কা!
পত্রিকা পড়ে মন দিয়ে জনতা,_ শুধু জানতে;
জীবনটা নড়ে গিয়ে কতটুকু খাদের কাছে?
ব্যভিচারী বাণিজ্য আর রাজনীতির ধুরন্ধর মারপ্যাঁচে;
তারপর না হয় চায়ের কাপে আরেকটা চুমুক
আর দেখে নেয়া ফুটবল ক্রিকেটের পাতা;
এরপর;_ দোষ হবে কেনো তা,
বিনোদনে না হয় একটু মজেই জনতা!
নায়িকাদের দেহের সুষমায়,_ যৌক্তিক জৈবিকতায়;


তারপর এবং শুধু তারপরই!
পাতা উল্টোতে উল্টোতে হঠাৎ গেলো সাহিত্য পাতায়,
চোখ পড়ে গেলো তোমার কবিতায়,
দেখে নিলো নির্বিকার শুধু,_ তোমার নামখানা;
কিন্তু কক্ষনো ভেবোনা,
আমজনতা মনোযোগে পড়েছে তোমার কবিতা,
তবে সেই ফাঁকে একটি কার্য সমাধা, জেনে গেলো তারা,


তুমি একজন "কবি"!


(১৩.০৯.২০২০)