একদিন আমার তরুণ সত্তাটি
কথা আর সুরে
অনন্ত নক্ষত্র বীথির মতোন জ্বলছিল ।


সেদিন আমার এ গীটার,
নিঃসঙ্গতার নীল গিরিপথে
অভিমানের অলি গলিতে
এই শহরের অভিশপ্ত বৃত্তে
প্রেম আগমন আর সেই
রোমান্টিকতার সাত রঙে
হ্যারিসন, ক্ল্যাপটনের গীটারের
মতো কেঁদেছিল ।


তখন আমার এই দেশে
ব্যান্ড সঙ্গীত কুক্ষিগত করা জোতদার
আর মোড়লেরা,
প্যাকেজ প্রোডাকশনের প্রবল উম্মাদনায়,
প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধের এক ইচ্ছাকৃত দরজা
সেই তরুণের মুখের উপর সজোরে
সাপটে বন্ধ করেছিল ।


একদা পত্রিকার একক আধিপত্য
যুগের তোঁয়াজ শিল্পকে মাড়িয়ে
আজ এই মিডিয়ার যুগে
বাঁধনহারা যেমন বহু অনবদ্য কবি,
তেমনি, হই অক্ষম কিংবা দুর্বল
তবু আজ সেই প্রত্যাখানের জমিনে দাঁড়িয়ে
আমিও, ব্যান্ড সঙ্গীতের মতো শিল্পী।


কয়েক যুগ পেরিয়ে কথা ও সুরে
আজ আমি আবারো,
সেই তরুণের মতো জ্বলছি ।


(২৮.১২.২০২৩)


(** আমাদের আসরের স্মার্ট, বুদ্ধিমান কবি ও গীতিকার, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ্ আল-মামুন এর প্রতি। এই লেখাটি কেনো লিখলাম সে সহজেই বুঝবে। আর অন্য প্রিয় কবিরা আমার আক্ষেপ বুঝবেন সহজেই।)