যেদিন প্রথম শোনালে আমায় সেরুলিয়ান ব্লু
                           এক সান্ধ্য কবিতায়;
সেদিন থেকে আমার আত্মায় - দেখা দিল
                          এক শুদ্ধ নীলের নিপীড়ন;
যেন পূর্বাপর আমার প্রণীত জীবন;
                অকস্মাৎ না দিয়ে কোনো এলার্ট অথবা ক্লু,
হয়ে গেলো নিঃসাড়ে চমৎকার সেরুলিয়ান ব্লু ।


(২)


সেদিন গোধূলী ধূসর ফুটপাতে,
দেখা হলো চেনা এক চিত্র বিক্রেতার সাথে;
চোখ আটকে গেলো একটি ছবিতে,
দশ পালের প্রাচীন নৌকো,
তার নিচে এক উত্তাল সমুদ্র নীল - নেচে চলেছে;
তবু যেনো হয়নি মনের মতো স্যাড এন্ড ট্রু!
তাই দাপুটে চিত্রকরের মতো - সেরুলিয়ান নীলিমা থেকে,
ছড়িয়ে দিলাম সে গভীর সমুদ্রে - তোমার দুর্দান্ত সেরুলিয়ান ব্লু ।


(৩)


যেদিন সন্ধ্যায় প্রথম শোনালে যখন শব্দদয়,
"সেরুলিয়ান ব্লু ";
সেদিন দেখেছি দারুন মহিমায় - তুমি দাড়িয়ে;
স্পারক্লিং এক অনুভবে;
তোমার সেরুলিয়ান ব্লু  কবিতার সুষমাটি হাতে নিয়ে;
পড়লে যখন মৃদুমন্দ সুমিষ্ট কন্ঠস্বরে,
তারপর থেকে এ দূরবর্তী শহরে,
সেরুলিয়ান ব্লু  রজনীর সব বিরহী অপ্সরী,
যেন আমার দরজায় এসে কড়া নাড়ে;
সবাই জানে বিষন্ন নীল আমার ভালো লাগে;
সো আই ক্রস মাই হার্ট এন্ড টেল ইউ ট্রুু;
সেদিনের সান্ধ্য আকাশে!
ইউ বিকেইম এ ফেইরিটেইল ব্লু  বার্ড - দ্যাট ফ্লিউ;
সেই মুহূর্ত থেকে - ভালোবেসেছি তোমার শুদ্ধতাকে,
আর তোমার কবিতা সেরুলিয়ান ব্লু ।


(৪)


হে বিদুষী কবি;
তোমার মন্ত্রমুগ্ধকর সেরুলিয়ান ব্লু,
কি এক অপূর্ব বিষাদে!
আমার অস্তিত্বের পূর্ব পশ্চিম আর মধ্য আকাশে,
নীল চন্দ্র সূর্য নক্ষত্র অমোঘ এক জীবনবোধে,
সতত শুধু ফোটে; - অপরীসিম বিষন্ণ এক বিস্ময়ে!


(২৭.১১.২০২০)


(* কবি শ্রাবনী সিংহ কে উৎসর্গ। কেন? কারণ অনন্য দক্ষতায় বিদেশী শব্দ প্রয়োগে আপনি এক অনবদ্য প্রতিভূ। যেমন সেদিনের “ডুবোপাহাড়ের সঙ্গে” কবিতার “সেরুলিয়ান ব্লু” - আমায় ভীষণ মুগ্ধ করে দিলো। আমার প্রিয় অভিজাত কবির তরে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় দ্বিতীয় উৎসর্গ)