বৈশাখের প্রথম দিনটিতে
সেই করোনা নিয়েই লিখেছি বলে
কেউ আমার কবিতাটি পড়েনি


আমার কবিতাটি পড়ে ছিলো
অবহেলিত, নিঃসঙ্গ, একাকি
একবার ভেবেছিলাম দুমড়ে মুচড়ে
ছুড়ে দেই সাইবার ট্র্যাশকেন এ


করোনার কড়া বাস্তবতায়
নিগৃহীত কবি আমি, দুঃখিত সাথীরা
করোনার আচ্ছন্নতা থেকে ছুটতে পারিনি


মরিচ ডলে পান্তা, মিষ্টি মুড়ি মুড়কি পিঠা
ইলিশের মৌ মৌ সুগন্ধে ভরা বৈশাখ
এসেছে বহুবার আমাদের জীবনে
আরো আসবে ‘এসো হে বৈশাখ’ আসবে চিরকাল


কিন্তু সাড়া বিশ্ব জুড়ে যে ভয়ালতা এসেছে প্রথম বার
যেটিকে বিনাশ করার কোনো অস্ত্র মানুষ এখনও খুঁজে পায়নি
তাকে মন থেকে সরিয়ে দেবো, সে সুযোগ আমার নেই


তবে বৈশাখ এই বাঙালী কবিকে ভোলেনি


শুভ নববর্ষের দিনে আমার নির্লিপ্ত দুপুরে
কলিং বেল বাজলো টুং টাং
দরজা খুলে দেখি
ইলিশ পোলাও, কয়েক প্রকার ভর্তার সমাহার
হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছেন পাশের ফ্ল্যাটের ভাবী
তার মিষ্টি মুখখানাতে সুমিষ্ট বৈশাখী হাসি


“ভাবী, লজ্জায় ফেলে দিলেন, আমিতো ভেবেছি করোনার সময়ে..


মাঝপথে থামিয়ে বললেন, “আমি জানি আপনি ভাবেননি,
আমি ভেবেছি...আপনি কবিতা লিখতে থাকুন,
আমি শুধু আপনার দূয়ারে রেখে গেলাম
আমার নববর্ষের শুভেচ্ছা ও প্রীতি”


ও শুনুন, আপনার কবি বন্ধুদেরও জানাবেন আমার
“শুভ নববর্ষ”।


(রচনা: ১৪.০৪.২০২০)