দু'দলের হানাহানিতে লজ্জায় মাথা নত করে আমাদের বাংলাদেশ;
শ্বর্পের মতো বিষাক্ত ছোবলে বিষকালো করে স্বাধীনতার আবেশ;
নগ্ন নৃত্য বিকারে রাজাকার ধর্মান্ধ সহমত শিষ্য হয় উন্মত্ত,
দেশদ্রোহী শব্দ শরীরে জারজ কবর দিতে চায় একাত্তরের মাহাত্ম;  


অচল শিক্ষার কালোতে এদের মন মানসিকতা আজ ক্লেদাক্ত কদর্য,
ভালোবাসেনা আবহমার বাংলার সংষ্কৃতি দেশের জনকের ভাষ্কর্য;
নদী মাতৃক ধানসিঁড়ির স্নিগ্ধতায় ছড়াতে চায় মরু শুষ্কতার হাহাকার,
মুজিবের মহানুভব ক্ষমাতে আজ দেশ জুড়ে দূষিত নব্য রাজাকার;


বিশ্ব মাঝে কোন্ দেশে নেই দু'দল, দেশজনক আর মুক্তির সূর্য স্বাধীনতা;
আছে মতবিরোধ, তবে তারা মলিন করে না তাঁদের অবদান গাঁথা;
দেশদ্রোহী শব্দ শরীরে কভু আসে না শেখ মুজিবের ত্যাগের কথা,
আসে না মুক্তিযোদ্ধা একাত্তর, আসে "কি লাভ হলো পেয়ে স্বাধীনতা";


যার একটি মাত্র অর্থ পরাজিত হানাদার দাসযুগ তরে অশ্লীল ব্যথা;
দেশদ্রোহী শব্দ শরীর ঘ্রাণে বিশ্বের দস্যুরা পশায় চক্রান্ত মাথা ।


(২০.১২.২০২০)


(শত সহস্র লক্ষ কোটি অনন্ত অগুণিত বিদ্রোহ শব্দ শরীর লেখা হোক, শাসকের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে! তবে সে বিদ্রোহ লিখনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মতো অমিয় প্রাপ্তিকে কালিমা লেপন "কি লাভ হলো দেশের স্বাধীনতা পেয়ে" - এই নিকৃষ্ট অনুভব, এই হীন প্রশ্নের তীর ছোঁড়া সঠিক নয়! শুধুমাত্র বাঙালির নিজের একটি স্বদেশ পৃথিবীতে, এই প্রাপ্তি ঐশ্বর্যের কোনো তুলনা নেই! "স্বাধীনতা মানে" "স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ও কারণ" শুধুমাত্র একটি - বিজাতীয় হানাদার অধীনতা, দাসত্ব থেকে বাঙালি মুক্তি অর্জন করে, বাঙালির জন্য পৃথিবীতে স্বাধীন একটি রাষ্ট্র গঠন করা। ব্যস! আর কোনো দ্বিতীয় কারণ বা উদ্দেশ্য নেই, নেই, নেই! দেশের শাসনের অসন্তোষে, যারা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের মানচিত্র, পতাকা আর স্বাধীনতাকে অসম্মান, অশ্রদ্ধা, ভুলুন্ঠিত করে, বলতে চায় - "স্বাধীন হয়ে কি লাভ হলো", যার একমাত্র অর্থ দাড়ায় - "হানাদার দাসত্ব অধীনতা শ্রেয় ছিল" এবং যারা "সহমত পোষণ" করে - তাদের জন্য আমার করুণা এবং নীরবতা। সবাই নিজস্ব মূল্যবোধ নীতি বজায় রাখুন। দুই তরীতে অবস্থান বাঞ্ছনীয় নয়। ধন্যবাদ।)